নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী মো. মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে ৮০৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৩ জন অভিভাবকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর’র বিদ্যালয় পরিদর্শক কর্তৃক দায়িত্ব প্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন অভিযোগকারী বাদী পক্ষের সম্মুখে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময় শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন ম্যানুয়াল অনুযায়ী প্রতিটি ক্লাসে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে একজন শিক্ষক বাদে সকল শিক্ষকের স্বাক্ষরিত নোটিশ, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গানোর সকল সঠিক প্রমাণ পান তদন্ত কর্মকর্তা।
এসময় উপস্থিত এলাকাবাসী ও শিক্ষকবৃন্দ তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, আমরা বিধি অনুযায়ী সকল কার্যক্রম করেছি। যেকারণে ৮০৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৩জন অভিভাবক এ ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এবিষয়ে বল্লী মো. মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুপ কুমার সাহা, শিক্ষক সিরাজুল ইসলামসহ উপস্থিত সকল শিক্ষক ও এলাকাবাসী বলেন, ২০১৩ সালের নাশকতা মামলার ডজন খানেক মামলার ৭ বছর পলাতক আসামী বল্লী ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারী এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক এ.কে.এম আজহারুজ্জামান মুকুলকে বহিস্কারের জন্য তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ৩০ জন শিক্ষকের মধ্যে ২৯ জন শিক্ষক আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বোর্ড চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করায় সে অভিভাবক সেলিম হোসেন, মিজানুর রহমান ও সরোজিৎ কুমার সানাকে দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. নজরুল ইসলামসহ তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে ও শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ দাখিল করেছিল ষড়যন্ত্রকারী শিক্ষক জামায়াত নেতা এ.কে.এম আজহারুজ্জামান মুকুল।
সে বল্লী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মিজানুর রহমান পিকলু, বল্লী ইউনিয়নের বর্তমান জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত ও ইউনিয়ন যুবলীগের একজন প্রভাবশালী নেতার ছত্র-ছায়ায় প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ে এসে দাঙ্গা হাঙ্গামা করে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট ও তার অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার লক্ষ্যে তার এ মিথ্যা প্রয়াস। বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস, শহীদ দিবসসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের কোন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়না এই স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত নেতা শিক্ষক এ.কে.এম আজহারুজ্জামান মুকুল। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন ম্যানুয়াল অনুযায়ী প্রতিটি ক্লাসে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে একজন শিক্ষক বাদে সকল শিক্ষকের স্বাক্ষরিত নোটিশ, স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গানোর সকল প্রমাণ পেয়েছি। আমি সঠিক ও আইন মেনে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেন জমা দেবো। এব্যাপারে সচেতন মহল ও এলাকাবাসীর দাবী ষড়যন্ত্রকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক জামায়াত নেতা এ.কে.এম আজহারুজ্জামান মুকুলকে বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার ও ষড়যন্ত্রকারী তার সহযোগি বল্লী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মিজানুর রহমান পিকলু, বল্লী ইউনিয়নের বর্তমান জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিত’র বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।