Site icon suprovatsatkhira.com

চোমরখালী-শিয়ালডাঙ্গা মধ্যবর্তী কালভার্টটি মরণ ফাঁদে পরিণত

খায়রুল আলম সবুজ, খলিষখালী (পাটকেলঘাটা) প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটার খলিষখালী ইউনিয়নের চোমরখালীর ও শিয়ালডাঙ্গার মধ্যবর্তী কালভার্টি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণের। ভেঙে যাওয়া কালভার্টটি দিয়ে দিনে-রাতে মানুষ ও যান চলাচলের সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। ভেঙে পড়া স্থানে নেই কোন বিপদ সংকেত চিহ্ন। সরেজমিনে দেখা গেছে, সরুলিয়া ইউনিয়নের শিয়ালডাঙ্গা গ্রাম ও খলিষখালী ইউনিয়নের চোমরখালী দুটি ইউনিয়নের এ জনগরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি। দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীসহ আশপাশের সকল জনগণকে এ ভাঙ্গা কালভার্টটি দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অতি দ্রæত নতুন একটি কালভার্ট নির্মাণের দাবিও জানিয়েছেন এলকাবাসী।

খলিষখালী ইউনিয়নের চোমরখালী ও সরুলিয়ার ইউনিয়নের সিমান্ত ঘেষে এ রাস্তাটি পাটকেলঘাটা যাওয়ার একটি প্রধান রাস্তা। সবাই এটি সরুলিয়া ইউনিয়নের শিয়ালডাঙ্গার মোড় বলে চেনে। সরুলিয়ার ইউপি সদস্য রোস্তম মোড়লের বাড়ির পাশে কালভার্টটির মাঝের অংশটি ভেঙে বিশাল গর্ত তৈরি হয়েছে। দূর থেকে গর্তটি অনুমান না হওয়ার ফলে রাস্তায় চলাচলের সময় অনেক অজানা মানুষ ও যানবাহন প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। স্থানীয় গ্রামের কুদ্দুস, সেলিম দোকানদার বলেন, কালভার্টটি ২-৩ মাস ভেঙে আছে। এ রাস্তা দিয়ে এখন এলাকার প্রতিদিন সাতক্ষীরা, পাটকেলঘাটা, খলিষখালী, দলুয়া, টিকারামপুর, গাছা, কপিলমুনি, পাইকগাছ ও দুরদুরান্তের মানুষ এবং যানবাহন চলাচল করে থাকে। কারণ পাটকেলঘাটা যাওয়ার প্রধান রাস্তাটি অনেক খারাপ হয়েছিল এবং ইসলামকাটি- হাজরাপাড়া রাস্তাটির দুরত্ব বেশি হওয়ার কারণে খলিষখালী ইউনিয়নের চোমরখালী ও শেয়ালডাঙ্গা থেকে চোমরখালী ঘোষপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি খলিষখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাফফর রহমান তার দেয়া ওয়াদা অনুযায়ী ১৫ শত মিটার রাস্তা ইটের সোলিং করে দেন। এর পর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থার এক আমূল পরিবর্তন হয়।

বেড়ে চলে মানুষ ও যানবাহন চলাচলের সংখ্যা। যার কারণে এ রাস্তায় অনেক চাপ পড়ে। এরই কারণে কালভার্টটি ভেঙে পড়েছে। কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় এবং রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় পথচারীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। আর তাছাড়া নি¤œ মানের রড, সিমেন্ট, ইট ব্যবহারের কারণে কালভার্টটি দ্রæত ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। এ বিষয়ে সরুলিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুল হাই’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনাটি শুনেছি এ ব্যাপারে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। পাশ হলে কাজ শুরু হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version