নিজস্ব প্রতিনিধি: সারাদেশের ন্যায় কালিগঞ্জে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে।
৩১ বার তোপধ্বনি, ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি, কুচকাওয়াজ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়।
শনিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সোহরাওয়ার্দী পার্কের বিজয় স্তম্ভে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
সকাল ৮টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
তবে মুক্তিযোদ্ধারা প্রথমে অনুষ্ঠান বর্জন করেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুল স্বীকার করার পর মুক্তিযোদ্ধারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
জানা গেছে, প্রতিবছর জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার অথবা মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে একজন প্রতিনিধিকে সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
তবে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম প্রজ্ঞাপনের দোহাই দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠান বর্জন করেন। অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার নরীম আলী মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোটসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কাওকে দেখা যায়নি অনুষ্ঠানে।
বেলা ১০টার দিকে বীরমুক্তিযোদ্ধারা অনুষ্ঠানে নেই কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম বলেন, প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা মেনে করা হয়েছে। কোন প্রশ্ন থাকলে অফিসে যেয়ে কথা বলবেন।
পরে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ভবনের পাশে সমবেত মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুল স্বীকার করার পর বীরমুক্তিযোদ্ধারা সরকারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সরকারের দেওয়া সংবর্ধনা গ্রহণ করেন। তবে দিনভর আর কোন অনুষ্ঠানে দেখা মেলেনি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
অনুষ্ঠান বর্জনের বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম জানান, জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এতে করে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে। যার প্রতিবাদ স্বরুপ আমরা উপজেলা প্রশাসনের সকল অনুষ্ঠান বর্জন করেছি।
সংবর্ধনার বিষয়ে তিনি জানান, যেহেতু সরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা জানানো হয়, সে কারণে সরকারের সম্মানার্থে আমরা শুধুমাত্র সংবর্ধনা গ্রহণ করেছি। আর কোন কর্মসূচিতে মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করিনি বলে জানান তিনি।