Site icon suprovatsatkhira.com

সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পাল্টা পাল্টি হামলা মামলায় আসামি-৪০

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চলাকালে হামলা, মারপিট ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি চারটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট স.ম সালাহউদ্দিন, অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার শেলী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এবং মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা নুরুল আলম ও অ্যাডভোকেট এম শাহ আলম বাদী হয়ে শুক্রবার সদর থানায় এসব এজাহার দায়ের করেন। চারটি এজাহারে ৪০ জনেরও বেশি আইনজীবীর নাম রয়েছে।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তফা নুরুল আলমের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন পরিচালনা করার সময় সহিংসতার এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর অ্যাডভোকেট স.ম সালাউদ্দিনের ল’চেম্বারের দরজার ছিটকানি ভাঙচুর করা হয়। কয়েকজন আইনজীবী ওই ল’ চেম্বারের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় অ্যাডভোকেট স.ম সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে অ্যাডভোকেট এম শাহ আলম, অ্যাডভোকেট তোজাম্মেল হোসেন তোজাম. অ্যাডভোকেট সায়েদুজ্জামান সায়েদ, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম(৫), আমিনুর রহমান চঞ্চলসহ কমপক্ষে ১০ জন আইনজীবীর নাম উলে¬খ করে বৃহস্পতিবার রাতে এজাহার দায়ের করেছেন।

একইভাবে নির্বাচন স্থগিত করার কিছুক্ষণ পর অ্যাড. সেলিনা আক্তার শেলীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, শ¬ীলতাহাানি ও মারিপট করা হয়। গালিগালাজ করা হয় অ্যাডভোকেট শাহানাজ পারভিন মিলিকেও। সেলিনা আক্তার শেলীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এসব অভিযোগে অ্যাড, সিরাজুল ইসলাম (৫), অ্যাড. আলো, অ্যাডভোকেট খোকনসহ পাঁচজনের নাম উলে¬খ করে বৃহস্পতিবার রাতে একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ২০ জনেরও বেশি অজ্ঞাতনামা আইনজীবীর নাম আছে।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাচন চলাকালে অ্যাড. মোজাহার হোসেন কাণ্টু, অ্যাডভোকেট এখলেছার আলী বাচ্চু, অ্যাডভোকেট এসএম হায়দার, অ্যাডভোকেট স.ম সালাহউদ্দিন, অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার শেলী, অ্যাডভোকেট শাহানাজ পারভিন মিলি, শাকিলা খানম, আব্দুস সাত্তারসহ কয়েকজন নির্বাচন বন্ধের জন্য নির্বাচন কমিশনারদের উপর হামলা, মারপিট ও ব্যালট ছিনতাই করেন। খবর পেয়ে সেখানে ছুঁটে গেলে অ্যাডভোকেট আ.ক.ম রেজোয়ানউল¬াহ সবুজ লোহার রড দিয়ে অ্যাডভোকেট এম শাহ আললমকে পিাটয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় অ্যাডভোকেট এম শাহ আলম বাদী হয়ে অ্যাড. স.ম সালাহউদ্দিনসহ ১৪ জনের নাম উলে¬খ করে অজ্হাতনামা ২৫ জনের নাম উলে¬খ করে শুক্রবার থানায় এজাহার দায়ের করেন।

এদিকে অ্যাডভোকেট স.ম হায়দার, অ্যাডভোকেট স.ম সালাহউদ্দিন, অ্যাডভোকেট আ.ক.ম রেজোয়ানউল¬াহ সবুজ, অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন, অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার শেলী, অ্যাডভোকেট শাহানাজ পারভিন মিলি, শাকিলা খানমসহ কয়েকজন আইনজীবী ত্রাস সৃষ্টি করে নির্বাচন কমিশনারদের উপর হামলা, মারপিট ও ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে ওইসব আইনজীবীসহ ১১জনের নাম উলে¬খ ও ২৫জন আইনজীবীকে আসামি করে দ্রæত বিচার আইনের ৩ ও৪ ধারায় শুক্রবার থানায় এজাহার দায়ের করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তফা নুরুল আলম।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শুক্রবার বিকেলে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবীর বলেন, সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতিতে নির্বাচন চলাকালিন সহিংসতার ঘটনায় উভয়পক্ষের চারটি এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাঁচাই বাছাই করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, জেলা আইনজীবী সমিতির ১১ সদস্যের মধ্যে গত ২৭ জানুয়ারি ৭ জন ও ৩০ জানুয়ারি একজন পদত্যাগ করায় নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে কমিটি ভেঙে দিয়ে নির্বাচন আহবান করা হয়। এসময় আইনজীবীদের অপর একটি গ্রæপ এসএম হায়দার কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে ১৩ মার্চ নির্বাচন ঘোষণা করে। উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে গত ২৩ ফেব্রæয়ারি সাতক্ষীরা-১ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট মুস্তাফা লুৎফুল¬াহ ও সাতক্ষীরা-২ সদর আসনের সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি আলোচনা করে গত ২৪ ফেব্রæয়ারি আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভার মাধ্যমে ছয় সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠণ করা হয়।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version