ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া: কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারি জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল ফুটবল মাঠে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে উপজেলায় দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। পরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও উপজেলা পরিষদে প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্প¯ত্মবক অর্পণ করে নানান কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা কলারোয়া সাতক্ষীরা ১ আসনের সাংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা প্রমূখ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান থেকে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
এদিকে করোনা প্রাদুর্ভাবের পর এ বছর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে ডিসপ্লে প্রদর্শন ,ক্রীড়া চিত্রাঙ্কনসহ নানান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আনন্দ উল্লাসের প্রফুল্লতা ছুয়েছে শিশুদের মনে। শনিবার (২৬ মার্চ) প্রত্যুষে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবস উদযাপনের শুভ সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলার ২৫ নম্বর দামোদরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীত পাঠের মধ্যে দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিনব্যাপী নানান কর্মসূচিতে স্কুল পড়ুয়া কোমল প্রাণ শিশু ও অভিভাবকদের অংশ গ্রহণে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উদযাপন।
দামোদরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শিক্ষক তজিবুর রহমান অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
বিদ্যালয়ের ৩০০ জন ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক, ইউপি সদস্য, এলাকাবাসী অংশ নিয়েছেন চিত্রাঙ্কন রচনা সঙ্গীত বিভিন্ন ক্যাটাগরির ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষীকা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, দিবসকে ঘিরে সকল শিশুদের মনে যেমন আনন্দ পেয়েছে তেমনি প্রফুল্লতাও পেয়েছে। স্কুলের পাঠের উপর তারা আরও মনোযোগী হবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জমিদাতা সদস্য শেখ আব্দুল্লাহ, ইউপি সদস্য আসলাম আলী দুলাল, আব্দুল আলিম, সাবেক ছাত্র বিপ্লব হোসেন, রাসেল হোসেন, আশিকসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক – শিক্ষীকা, ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকাবাসী প্রমুখ।