ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া: আমিষ – ডিম ও পুষ্টির লক্ষ মাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে মুরগী পালনে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলোজি প্রোগ্রাম-ফেজ-২ প্রজেক্ট (এনএটিপি-২) এর আওতায় সিআইজি ও নন সিআইজি ৫০জন নারী পুরুষের কৃষকদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলার ৬ নম্বর সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের মাদরা ৪ নম্বর ওয়ার্ড মতিয়ার মেম্বারের বাড়ি সংলগ্নে মুরগী পালনে দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষন সমাবেশে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার অমল কুমার সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার এবিএম আব্দুর রউফ।
প্রাণী সম্পদ অফিসের মাঠ সম্প্রসারণ কর্মী সুমন হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন হেলাল, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ফিল্ড অফিসার মফিজুল ইসলাম, ইউনিয়ন সিল গোলাম সাকি।
প্রধান অতিথি জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার এবিএম আব্দুর রউফ বলেন, পরিবারে আমিষ ও ডিমের ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে হাস মুরগী পালনে দক্ষতা অর্জন করে পালন করতে হবে। মুরগির ডিমে তাওয়া দেওয়ার সময় মুরগির ওজন এর অর্ধেক ওজনের সমান ডিম নিয়ে তাওয়া বসাতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে ডিমের মোটা অংশটা যাতে নিচে না যায় তাহলে সকল ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে। বাচ্চা ফোটার তিন থেকে সাত দিন বয়সের মধ্যে বিসিআরডিভি টিকা দিতে হবে।
মুরগির বাচ্চার বয়স ৩০ দিন হলে পক্স টিকা, দুই মাস হলে রাণী ক্ষেত, ৩ মাস থেকে ৬ মাস বয়সের মধ্যে মুরগীর কলেরা ভ্যাকসিন দিতে হবে তাহলে মুরগিও মরবেনা এবং বংশ বৃদ্ধি পাবে।
মাদরা এলাকার নূর ইসলামের স্ত্রী সাবিনা খাতুন বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে পশুপালনের উপর আমাদের যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তা অতি গুরুত্বপূর্ণ। এমন প্রশিক্ষণ আরও বেশি হলে ঠিকভাবে গবাদি পশু পালন করে আমাদের পরিবারের দুধ ডিম ও আমিষের ঘাটতি মিটিয়ে বাড়তি অর্থ রোজকার করে স্বাবলম্বী হতে পারতাম। গ্রাম্য অঞ্চলে এ ধরনের গবাদি পশু পালন প্রশিক্ষণ যাতে আরো বেশি হয় সকল মানুষ যাতে প্রশিক্ষণ নিয়ে গবাদি পশু পালন বৃদ্ধি করতে পারে সেজন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।