মার্চ ১৯, ২০২২
কলারোয়ার শ্যামসুন্দর মন্দিরে পূজা দিলেন ভারতীয় উপ হাইকমিশনার সুরেশ রাইনা ও সহধর্মিণী নন্দিতা পাল
ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া : সাতক্ষীরা কলারোয়ার ৮০০ বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক শ্যামসুন্দর মন্দিরে গিয়ে শিব ঠাকুরের মাথায় জল ঢেলে রাধা মাধবে পূজা দিয়েছেন বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে দায়িত্ব প্রাপ্ত ভারতীয় উপ হাইকমিশনার সুরেশ রাইনা ও তার সহধর্মিণী নন্দিতা পাল। শনিবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে শ্যামসুন্দর মন্দির পরিদর্শন করে ভারতীয় উপ হাইকমিশনার বলেন, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে রানী রাশমনি, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব সহ গুণী ব্যাক্তিত্বের আগমন ঘটেছে এ মন্দিরে। তবে এখানে পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য কমিউনিটি হলরুম কেন্দ্র নির্মাণ প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রাচীন এ মন্দিরের অবশিষ্ট অংশ যাতে আর ধ্বংস না হয়ে যায় এজন্য প্রাচীন চুন সুরকির ঐতিহাসিক শৈল্পিক এ ঐতিহ্য রক্ষার্থে পরিচর্যার সাথে পাঁচিল নির্মাণ প্রয়োজন। ৮০০ বছরের প্রাচীন এ মন্দিরটি পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে অর্থনৈতিকভাবেও রাজস্ব পাবে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি বলেছেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষার সংস্কৃতি রক্ষা করেছে বাঙালিরা সেই দেশের প্রাচীন সকল ঐতিহ্য রক্ষায় সরকার অগ্রণী ভূমিকা রেখে কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকার অবশ্যই শ্যামসুন্দর মন্দিরটির উন্নয়ন ও পর্যটক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এসময় তিনি সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন হেলালের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ – ভারত আপন দুই ভাইয়ের মত বসবাস করে। ধর্মীয় এ মন্দিরকে পর্যটক কেন্দ্র নির্মাণের জন্য চারিধারের দেওয়াল / প্রাচীর ও আভ্যন্তরীণ উন্নয়নের চাহিদা প্রকল্প দেওয়া হলে ভারত থেকে সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
শ্যামসুন্দর মন্দিরটি বাংলাদেশের দক্ষিণে সাতক্ষীরা জেলা সদর থেকে ২০ উত্তর পশ্চিমে কলারোয়া উপজেলার সীমান্ত অঞ্চল সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামসুন্দর (মঠ বাড়ি) মন্দির নামে পরিচিত। অনুষ্ঠান চলাকালীন ভারতীয় হাই কমিশনের নিকট সহযোগিতা চেয়ে স্মারক তুলে দেয় শ্যামসুন্দর মন্দিরের সভাপতি দেব প্রসাদ চক্রবর্তী। এ সময় তিনি স্মারক পাঠ করে বলেন, মন্দীরে আপনার আগমনকে অভিনন্দন। আপনি আমাদের দুরবস্থা স্বচক্ষে দেখেছেন। আমরা গত ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে কোন সরকারি অনুদান পায় নাই । একটা স্বতন্ত্র রাধা গোবিন্দ মন্দির নির্মাণ করতে আগ্রহী। আপনার ব্যক্তিগত অনুদানে অথবা আপনার প্রচেষ্টায় সরকারি কোন অনুদানে রাধাগোবিন্দ মন্দির নির্মিত হলে আপনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মন্দির যতদিন থাকবে আপনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। নব বসন্তের আগমনে আপনার শুভাগমনের আমরা সকলে উৎদ্বোলিত। আমাদের ঐকান্তিক আবেদন, আপনি আমাদের প্রত্যাশা পূরণে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করে অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র অধিবাসী।
এ সময় ভারতীয় উপ হাইকমিশনার সুরেশ রাইনার সহধর্মিণী নন্দিতা পাল বলেন, শ্যামসুন্দর মন্দিরটি অতি প্রাচীন। শৈল্পিক এ স্থাপনার অনেক অংশই এখন সংস্কারের অভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। 8,382,013 total views, 1,758 views today |
|
|
|