সমীর রায়, আশাশুনি : আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহকারী সার্জন হিসেবে যোগদান করেছেন নতুন ১৩ চিকিৎসক। আল্ট্রাসোনগ্রাফি ও এ্যানেস্থেসিয়া সেবা সহ এবার আরও বেশি আউটডোর ও সিজারিয়ান সেবার দ্বার উন্মুক্ত হলো।
কমপ্লেক্সের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৬ ফেব্রæয়ারি সহকারী সার্জন হিসেবে যোগদান করেন ৩৯ বিসিএসের ডা. বিশ্বজিৎ কুমার বাছাড়, ডা. আব্দুর রহমান, ডা. ফাতেমা তুজ জোহরা, ডা. অনিক গুহ ও ডা. মো. শহীদুল্লাহ।
এছাড়া ২৮ ফেব্রæয়াারি যোগদান করেছেন ৪২ বিসিএসের ডা. প্রসুন কুমার মন্ডল, ডা. তৃষ্ণা বসাক, ডা. ফরহাদ হোসেন, ডা. আশিকুর রহমান, ডা. সাদিয়া শারমিন, ডা. এসএম নাঈম হোসেন নয়ন ও মোস্তফা নাহিয়ান হাবিব। এসব চিকিৎসকের মধ্যে ডা. ফরহাদ এ্যানেস্থেশিয়া ও ডা. বিশ্বজিৎ আল্ট্রাসোনগ্রাফি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। এর আগে ১২ জন সিনিয়র ষ্টাফ নার্স যোগদান করেছেন। তাদের মধ্যে কয়েক জন বিএসসি নার্স রয়েছেন। ২৯ টি পদের বিপরীতে বর্তমানে ২৫টি পদ পূরণ রয়েছে। যেটা এযাবত কালের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থিতি।
এছাড়া জানুয়ারিতে যোগদান করেছেন প্যাথলজিষ্ট এমটিল্যাব মুস্তাফিজুর রহমান ও ফেব্রæয়াারীতে রেডিওগ্রাফার হিসেবে যোগদান করেছেন সাবরিনা ইসলাম মৌ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান হাসপাতালে স্টোর কিপার নেই বিশ বছর। হারবাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অনিমেষ মন্ডল ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রয়েছেন প্রায় দুবছর হলো। একইভাবে ফার্মাসিস্টের পদ শূন্য। সহকারি সেবক আশরাফুল ইসলাম ফার্মাসিস্টের দায়িত্ব পালন করছেন।
পরিসংখ্যানবিদ এর পদটি শূন্য প্রায় দুবছর। অফিস সহকারি আব্দুল খালেক ভারপ্রাপ্ত পরিসংখ্যানবিদ হিসাবে করোনাকালীন সময় থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সুদেষ্ণা সরকার জানান- একসাথে অনেক চিকিৎসক যোগদান করেছেন ঠিকই তবে এখনও অনেক পদ শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে ৫ চিকিৎসক সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে কর্মরত আছেন। ৮ মার্চ থেকে সবাই সেবাদান করবেন। আমি সবার সাথে বসে আলোচনা করে দায়িত্ব বণ্টন করব। প্রশাসনিক বিভাগেও অনেক পদ শূন্য রয়েছে। বিষয়গুলো জেলা সিভিলে সার্জন স্যারকে জানানো হয়েছে। এখন চিকিৎসক এসেছেন, নার্স এসেছেন ধীরে ধীরে সব পদ পূরণ হবে।