নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনিতে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের পানিতে মৎস্য ঘেরের অর্ধ লক্ষাধিক টাকার চিংড়ি মাছ বিনষ্টের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের কাটামারি গ্রামের তেলেখালি খাল সংলগ্ন এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্থ গদাইপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুজ্জামান শেখের ছেলে জাহিদ শেখ হেরা জানান, আমি ডালিম চেয়ারম্যানের জমি হারি নিয়ে গলদা চিংড়ি ও সাদা মাছ চাষ করি।
গত কয়েকদিন ধরে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক গদাইপুর গ্রামের উজীর মালীর ছেলে আবুল কালাম ওরফে কালু মালী তার নিজ জমিতে বালু উত্তোলন করছেন। গদাইপুর গ্রামের মেশিন মালিক শাহিনুর ও মনিরুল ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করে চৌহদ্দির মধ্যে কোন পলিথিন না দিয়ে বালু উত্তোলন করয় বালুর লবন পানিতে আমার ঘেরের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকার মাছ বিনষ্ট হয়েছে। আমার মাছ মারা যাওয়ার পর তারা চৌহদ্দির দক্ষিণ সীমানয় পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়।
পার্শ্ববর্তী জমির মালিক ইসমাইল সরদার ডাবলুর স্ত্রী ফেরদৌস খাতুন জানান- বালু উত্তোলনের পানি চুঁইয়ে পুকুরে ঢুকে আমাদের অনেক মাছ মরে গেছে।
বালু উত্তোলনকারী জমির মালিক কালু মালীর ছেলে আবু মুসা জানান- অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এটা ঠিকই তবে পানি চুঁইয়ে তাদের অত মাছ মরেনি।
ইউনিয়নের সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ জানান গদাইপুর গ্রামের ৪/৫ জন বালু উত্তোলনকারী মেশিন মালিক কোন আইনের তোয়াক্কা না করে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।