ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২
গাবুরায় গাছে গাছে আমের মুকুলের সমারোহ
আল-হুদা মালী, গাবুরা (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : মাঘের শেষে মুকুলে ছেয়ে গেছে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের গ্রাম অঞ্চলে বসতবাড়ির আঙিনার আম গাছগুলো। থোকা থোকা মুকুলের ভারে ঝুলে পড়েছে আম গাছের ডালাপালা। আমের মুকুলের ঘ্রাণ বইছে পুরো গাবুরাতে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এই মুকুলের ঘ্রাণ। কোনো কোনো গাছে আমের মুকুল থেকে বেরিয়েছে ছোট ছোট গুটি আম। তবে এবার কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আম গাছের মালিকরা। তারা জানান, অধিকাংশ গাছই এর মধ্যে মুকুলে ছেয়ে গেছে। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে এর সুগন্ধ। গ্রামের সর্বত্র আমগাছ তার মুকুল নিয়ে হলদে রং ধারণ করে সেজেছে এক অপরূপ সাজে। গাছে গাছে অজ¯্র মুকুল দেখে খুশি এলাকার মানুষ। গাবুরা স্থানীয় বাসিন্দা আলহাজ্ব মুনছুর মালী জানান, প্রাকৃতিক কারণেই এবার আগেভাগেই আম গাছে মুকুল এসেছে। অনেকেই ধারণা করছে আমের মুকুল আসার আগে-পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন এ বছর তা বিরাজ করছে। শ্যামনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল ইসলাম জানান, আমের মুকুল আসার আগে-পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন, এ বছর তা বিরাজ করছে। জানুয়ারি থেকে ফেব্রæয়ারি মাস পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার আদর্শ সময়। এ সময়ে মুকুলের প্রধান শত্রæ হচ্ছে কুয়াশা। এখন পর্যন্ত কুয়াশা কম এবং আকাশে উজ্জ্বল রোদ থাকায় আমের মুকুল ভালো ফুটছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আম চাষিরা সময়মতো আমগাছে পরিচর্যা করলে চলতি মৌসুমে আমের ভালো ফলন পাবেন। তিনি আরো বলেন, আমরা পরামর্শ দিচ্ছি যে গাছে ফুল আসছে মুকুল আসে কিন্তু ফুল ফোটে নাই সে গাছে একটা কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। আর যে গাছে মুকুল এবং ফুল ফুটে গেছে সে ক্ষেত্রে কিছু করা যাবে না গুটি বাধা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আম গাছের গোড়ায় পানি না থাকলে পানি সেচ দিতে হবে। তাহলে আশা করা যায় যেটুকু কুয়াশা হচ্ছে তাতে ক্ষতি হবে না। কুয়াশা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। শৈত্যপ্রবাহ কমে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়েছে বিগত দু’দিন কুয়াশাও বেড়েছে। এজন্য আম চাষিদের সতর্ক থাকতে হবে। 8,613,290 total views, 4,947 views today |
|
|
|