Site icon suprovatsatkhira.com

সাতক্ষীরার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের বিন¤্র শ্রদ্ধা

ডেস্ক রিপোর্ট : বিন¤্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় একুশের প্রথম প্রহরে সাতক্ষীরার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন জেলার সর্বস্তরের মানুষ। সোমবার প্রথম প্রহরে রাত ১২ টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শহীদ বেদীতে ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন সাতক্ষীরা- ০২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, তালা-কলারোয়া আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার), সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন সাফায়েত প্রমুখ।

এরপর দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে শহীদ মিনারের বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন রাজনীতিক, কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষক, ছাত্রসহ সকল শ্রেণি-পেশা ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ। শহরের বিভিন্ন সড়কে মনোরম আল্পনা আঁকা শ্রদ্ধা ও ভক্তি বাড়িয়ে দেয়। এসময় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে খালি পায়ে ভিড় করেন সবাই। পরে পর্যায়ক্রমে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন- সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব, জেলা জজশীপ সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, জেলা শ্রমিক লীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, জেলা কৃষক লীগ, দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরা, দৈনিক কাফেলা, দৈনিক পত্রদূত, দৈনিক কালের চিত্র, দৈনিক দৃষ্টিপাত, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা, দৈনিক যুগেরবার্তা, দৈনিক দক্ষিণের মশাল, ডেইলি সাতক্ষীরা, দৈনিক সাতনদী, সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী, সাপ্তাহিক মুক্তস্বাধীন, সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাব, সাতক্ষীরা সিবি হাসপাতাল লিমিটেড, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেল, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ, সাতক্ষীরা নার্সিং ইনস্টিটিউট, সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ, দিবা-নৈশ কলেজ, ছফুরননেছা মহিলা কলেজ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ, জেলা কারাগার, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা জাতীয় পার্টি, জেলা জাতীয় যুব সংহতি, জাতীয় ছাত্র সমাজ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিকদল জাসদ, জেলা কৃষকলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জেলা আইনজীবী সমিতি, সাতক্ষীরা পৌরসভা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুল, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স, রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, নবজীবন ইনস্টিটিউট, সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসা, সাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস্, সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতি, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), সাতক্ষীরা জেলা শিশু একাডেমি, বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ, সাতক্ষীরা ‘ল’ কলেজ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ, বর্ণমালা একাডেমি, দীপালোক একাডেমী, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, নলকুড়া তরুণ সংঘ, সাতক্ষীরা অনলাইন প্রেসক্লাব, জেলা মিনিবাস মালিক সমিতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এড. এন্তাজ আলী স্মৃতি সংসদ, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন, ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখা, জেলা মন্দির সমিতি, সাতক্ষীরা সদর সার্বজনীন পুজা মন্দির, পৌর শ্রমিকলীগ, মটর সাইকেল চালক এসোসিয়েশন, জেলা মাহিন্দ্রা থ্রি হুইলার চালকলীগ, জেলা রিকসা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ অন্যান্য ছাত্রসংগঠন এবং সর্বস্তরের নাগরিকেরা ফুল দিয়ে বায়ান্নর ভাষা শহীদদের স্মরণ করেন। এ সময় মাইকে বাজতে থাকে অমর একুশের গানের করুণ সুর ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’। ধারাভাষ্যকারবৃন্দ অবিরাম কবিতার পক্তিমালা আবৃত্তি করেন। ঘোষণা মঞ্চে দায়িত্ব পালন করেন শামীমা পারভীন রতœা, শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন, আবু আফ্ফান রোজ বাবু।

এছাড়া এদিন প্রথম প্রহর থেকে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক চত্বরে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু ও ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মিছিলে পাকিস্তানী বাহিনী দ্বারা হত্যাকান্ডের জন্য পাকিস্তানের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়। উল্লেখ, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলা দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালায় পুলিশ। এতে শহীদ হন রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউরসহ নাম না জানা আরো অনেকে। পাকিস্তান শাসনামল থেকেই দিনটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে আসছে বাঙালিরা।

ভাষার দাবিতে বিশ্বের প্রথম কোনো জাতি জীবন দেওয়ায় ২১শে ফেব্রæয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর একটি সভায় ১৮৮টি রাষ্ট্রে সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সাল থেকে সারা বিশ্বে দিবসটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করছে বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version