শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগরের কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বর হামিদুল কবির (বাবু) ও তার পরিবারের সদস্যদের দায়ের করা মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ ফেব্রæয়ারি) শংকরকাটি (দেওল) গ্রামের মরহুম মানিক মোড়লের পুত্র ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি ও ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী এম.এম. আনছার আলী মোড়ল (৬৮)। নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ০২নং কাশিমাড়ী ইউনিয়নে ০১ নং ওয়ার্ডে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গত ২৬শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। তিনি তালা প্রতীক নিয়ে ইউপি সদস্য প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। নির্বাচনে ০১নং ওয়ার্ডের ০৬নং শংকরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যোগ সাজসে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী হামিদুল কবীর বাবুর (ফুটবল প্রতীক) অন্যায় ভাবে ও কারচুপি করে বিজয়ী করার অভিযোগ ওঠে। ভোট গণনার ক্ষেত্রে তার তালা প্রতীক ৫৯৩ ভোট বৈধতা দেখান। বাতিল ৭০ ভোটে আমার বৈধ ভোট থাকায় তার পোলিং এজেন্ট মো. বাবুল আক্তার এর তীব্র বিরোধিতা করলে কোন অভিযোগ আমলে না নিয়ে তাকে বরং বের করে দেন।
এমনকি ২০৩৩টি ভোট পোল হলেও ভোট গণনায় ২০২২ টি দেখানো হয়। তার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী হামিদুল কবীর বাবুর (ফুটবল প্রতীক) কু-কৌশলে ৬০৭ ভোট বৈধতা দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী হামিদুল কবীর বাবুর (ফুটবল প্রতীক) প্রাপ্য ভোট চ্যালেঞ্জে করে এম.এম. আনছার আলী ইতিপূর্বে সংবাদ সম্মেলন করলে ও আইনি পদক্ষেপ নিতে থাকায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। এম.এম. আনছার আলী বড় পুত্র আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ছোট পুত্র ইয়াছিন আলি প্রায় ২ যুগ ধরে ঢাকায় ব্যবসা ও চাকুরি রত আছে। মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য ও মার্কেটের কাঁটাবন পেট কর্ণারের ২৩ ও ২৭ নং দোকানের প্রীতি বার্ডস নামীয় দোকানে ও ইয়াছিন আলী ঢাকায় সিটিজি গ্রæপে চাকুরিরত।
মেম্বর হামিদুল কবির বাবু ও তার পরিবার নির্বাচনীয় বিরোধকে কেন্দ্র করে এম. এম. আনছার আলীদের একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি অব্যাহত রেখেছেন। মেম্বরের ভাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি শ্যামনগর থানায় ১৩ নং মামলা, মেম্বরের জামাতার ভাই আব্দুল কাদের গত ৮ ফেব্রæয়ারি বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সাতক্ষীরা-৯৩/২২ (শ্যামঃ) মামলা ও মেম্বর হামিদুল কবির (বাবু) গত ৯ ফেব্রæয়ারি বিজ্ঞ আমলী আদালত নং ৫ (শ্যামঃ) সাতক্ষীরা- সি,আর-৮৭/২০২২ (শ্যামঃ) মামলা করেন। মামলা গুলো হয়রানিমূলক, অসত্য, ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্য মূলক বলে দাবি করেন আনছার আলী।
তার পরিবার ও নির্বাচনীয় কর্মীদের একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি ও হুমকি অব্যাহত থাকায় তিনি, তার পরিবার ও তার কর্মী সমর্থককারীরা দারুনভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও তিনি দাবি করেন। এধরণের মামলা গুলো যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি পাওয়ার কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এম. এম. আনছার আলী।