সমীর রায়/নুরুল ইসলাম : আশাশুনিতে খাজরা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাসভবনে ভোটারদের সাথে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খলিল টুকু।
তিনি বলেন ৯ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনকে ঘিরে পরাজিত প্রতিপক্ষ হত্যাসহ কমপক্ষে ৩০ মামলার আসামি সাবেক মেম্বর আনারুল ইসলাম নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইউপি নির্বাচন ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করতে তিনি মিথ্যা ও কাল্পনিক কাহিনী অপপ্রচার করে যাচ্ছেন।
৫ জানুয়ারী নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডে আমি ও আনারুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে দুজনেই ১১১৬ ভোট পেয়েছিলাম। ওই দিন বিদ্রোহী প্রার্থী অহিদুল ইসলাম কে হারিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহ নেওয়াজ ডালিম পূনরায় পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আমি নৌকা প্রতীকের পক্ষে ও আনারুল আনারস প্রতীকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম। এরপর থেকেই তার ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে যায়।
এদিকে নির্বাচন কমিশন পুনঃ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে ৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ভোট গ্রহণ করেন।
সোমবার তুয়ারডাঙ্গা এইচ এফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ৩১৩৩ জনের মধ্যে ১ হাজার ৭৭০জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষের বিধায় সাধারণ ভোটাররা উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে আমাকে ফুটবল প্রতিকে ১৭২৭ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আর প্রতিদ্বন্দী আনারুল ইসলাম মোরগ প্রতিকে ৪৩ ভোট পেয়ে জামানত খুইয়েছেন।
নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন আশাশুনি উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার হাসানুজ্জামান। পুলিশ, ডিবি পুলিশ, আনসার ও ভ্রাম্যমান টিমের তদারকিতে শান্তি পূর্ণ ভাবে ভোট শেষ হয়েছে।
নির্বাচন চলাকালীন সময় উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি শাহিনা সুলতানা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট), আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মমিনুল ইসলাম(পিপিএম), তদন্ত ওসি বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারীর তত্ত¡াবধানে প্রায় অর্ধ শতাধিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
নির্বাচনে ভরাডুবি হচ্ছে টের পেয়ে দুপুরেই সে মাঠ ত্যাগ করে সাতক্ষীরা চলে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন ভোট নিরপেক্ষ হয়নি, তার এবং তার সমর্থকদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে।
ইব্রাহীম খলিল টুকু তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন আইনের প্রতি আস্থা রেখে আমি পূনঃ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ভাবে বিজয়ী হয়েছি। এখন এলাকায় কোন সংঘাত নয়। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। ইউপি চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিম এর নেতৃত্বে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ওয়ার্ডের উন্নয়ন করতে হবে।
এদিকে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে এসব অপপ্রচারের প্রতিবাদ করেছেন তার পক্ষের সমর্থক গণেশ চন্দ্র মন্ডল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জিয়াদ আলী সরদার, রুহুল আমিন সরদার, বিধান চন্দ্র গাইন, পরিমল গাইন, ইমদাদুল হক মোল্লা, ফিরোজ আহমেদ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।