কলারোয়া প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালনই করা হয় না।
উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৯ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১২ টি কলেজ ও ২৯ টি মাদ্রাসা আছে। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলারোয়ায় ২৫ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১১৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯ টি কলেজ ও মাদ্রাসার কোনটিতে শহীদ মিনার নেই । আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এলে বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো কোনোটিতে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না বানিয়ে শুধু আলোচনা সভা বা মিলাদ মাহফিল করে দিবসটি পালন করা হয়। আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে তা-ও করা হয় না। ছলিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গতকাল সোমবার গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোনো শহীদ মিনার নেই। ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘অর্থের অভাবে প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করতে পারিনি। সরকারী ভাবেও শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেননি। তাই একুশে ফেব্রæয়ারি এলে স্কুলের মাঠে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।’ যুগিখালী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম গতকাল বিকেলে বলেন, ‘শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সাবেক সাংসদ ও উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছিলাম। তাঁরা শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ দেননি। বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি, তিনি শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন।’
পাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, শহীদ মিনার নেই। তাই একুশে ফেব্রুয়ারির আগের দিন বিদ্যালয়ের মাঠে কলাগাছের শহীদ মিনার বানানো হয়। রায়টা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রিয়াদ হোসেন বলে, ‘একুশে ফেব্রুয়ারির দিন স্কুল ছুটি থাকে। স্যারেরা কলাগাছ দিয়া শহীদ মিনার বানায়। আমরা সকালে উঠে ফুল দেই।’ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ: হামিদ ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান গতকাল বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের চিঠি দেওয়া হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লালটু বলেন, পরিকল্পনা করে পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
কলারোয়ার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/