জি এম মাছুম বিল্লাহ, সুন্দরবন অঞ্চল প্রতিনিধি : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গৃহবধূর অন্তরঙ্গ মুহ‚র্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আল মামুন হোসেন (৩২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। আল মামুন শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলি গ্রামের মৃত শামছুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধু (৩২)। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ‘ওই গৃহবধূ আল মামুনের দোকান থেকে মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড দিতেন। মোবাইলে ফ্লেক্সিলোড দিতে যাওয়া আসার এক পর্যায়ে আল মামুন কৌশলে মোবাইল নম্বর নিয়ে প্রতিনিয়ত ওই গৃহবধূকে ফোন করে প্রেম ভালোবাসা নিবেদন করতে থাকে’। অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে, ‘ভুক্তভোগী গৃহবধূ তাকে বার বার নিষেধ করা সত্তে¡ও সে প্রতিনিয়ত ফোন করে প্রেম ভালোবাসা নিবেদন করার এক পর্যায়ে তার সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। যে কারণে আল আমিনের সাথে ভুক্তভোগী গৃহবধূর মোবাইল ফোনেসহ ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারে, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ সহ কথোপকথন হতে থাকে।
পরবর্তীতে আল মামুন ওই গৃহবধূর সাথে মিথ্যা প্রেম ভালোবাসার অভিনয় করে কৌশলে গৃহবধূর অন্তরঙ্গ মুহ‚র্তের ভিডিওসহ স্ক্রিন শর্টের ছবি সংগ্রহ করে রাখে। পরবর্তীতে সে ওইসব ভিডিও সহ ছবি দেখিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে বøাকমেইল করে বিভিন্ন সময়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও অশ্লীল ভিডিও নেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এবং বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ৮মাস যাবৎ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিল’। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, সর্বশেষ আল মামুন ও তার মা যোগসাজশ করে ভুক্তভোগী গৃহবধূর থেকে মোটা অংকের অর্থ দাবি করতে থাকে। সেই অর্থ না দেয়ায় বিয়ে করবে না বলে তাড়িয়ে দেয়’। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আল মামুনের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার সাথে তার এ ধরনের কোন কিছুই ঘটেনি’। এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, ‘আমি বিষয়টি এএসআই মনিরকে দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।