Site icon suprovatsatkhira.com

ধুলোবালিতে অতিষ্ঠ ৫ গ্রামের মানুষ

রেজওয়ান উল্লাহ, জালালাবাদ (কলারোয়া) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার আফজাল মোড় থেকে সিংহ লাল বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। আধা সংস্কার করা এ সড়কের ধুলায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। সড়কের পাশের গাছপালায় ধুলার আস্তরণ পরেছে।
মুরারীকাটি,শ্রীপতিপুর,জালালাবাদ,শংকরপুর,সিংহলাল সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ নিত্য দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ আগের ভাঙ্গা রাস্তাই ভালো ছিল। সংস্কার করতে গিয়ে মাঝপথে থেমে যাওয়ায় ভাঙ্গা রাস্তার দুর্ভোগের চাইতে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এখন।

গত পাঁচমাস ধরে সড়কটির বেহাল দশা। সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট খাট দুর্ঘটনা। প্রায় পাঁচ মাস আগে সড়কটি সংস্কার শুরু হয়। ইটের খোয়া বিছিয়ে রাখা হয়ছে প্রায় পাঁচ মাস ধরে। পিচ না দেওয়ায় ইটের খোয়া ধুলোবালিতে পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলাচলের ফলে তা উড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফসলি জমি, বাড়ি ঘরে পড়ছে।
শংকরপুর এলাকায় বসবাসকারী হাবিব হোসেন বলেন, বাসা থেকে পরিচ্ছন্ন কাপড় পড়ে বের হয়ে কোথাও যাওয়ায় আগেই লাল রঙে রঙিন হয়ে যেতে হয়।’

জালালাবাদ মাদ্রাসার শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন,রাস্তার পাশে নিজস্ব জমিতে সব্জীর চাষ করেছি, সব্জীর ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু খাওয়ার উপায় নেই। কাঁঠাল গাছে মুচি ধরেছে। কাঁঠাল গাছ ও সব্জী বাগানে লাল বালির স্তর পড়েছে। বোরো ধানের বীজতলা, ধান ক্ষেতে সড়ক থেকে উড়ে আসা বালিতে একাকার হয়ে পড়েছে।’
কলেজ ছাত্র তানভীর রহমান রনি বলেন, ধুলোবালির কারণে মানুষের ঠাÐ, সর্দি, কাশি লেগেই রয়েছে। ঘরের বিছানাপত্র, আসবাবপত্র সারাদিনে চারবার পরিষ্কার করতে হয়। একদিন পরিষ্কার না করলে দেখে মনে হয় হাজার বছরের পুরনো।’

গৃহিণী নূরজাহান বলেন, রান্না ঘরের চারপাশে কাপড় ঝুলিয়ে ধুলো বালি থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না। খাবারে ইটের ধুলো বালি পড়ছে নিয়মিত।
শংকরপুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, সড়ক থেকে প্রতিদিন দোকানের আসবাবপত্রে ধুলাবালির স্তর পড়ছে। ধুলোবালি থেকে রক্ষা পেতে বাজারের ব্যবসায়ীরা মিলে সড়কে পানি ছিটিয়েছি। কিন্তু কাজ হয় না।

সিংহলাল গ্রামের আরশাফ বলেন, আগে সড়ক ভাঙ্গা ছিল, তখনই ভাল ছিল। সংষ্কার করতে গিয়ে মাঝপথে থেমে যাওয়ায় ভাঙ্গা রাস্তার দুর্ভোগের চাইতে এখন বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।
এসব বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা প্রকৌশলী নাজিমুল হক বলেন, কলারোয়া বাজারের আফজাল মোড় থেকে পাঁচ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে। সড়কে ইটের খোয়া দেওয়ার পর রাস্তার দুইপাশে অসংখ্যা পুকুর ও মাছের ঘের থাকায় পাইলিংয়ের কাজ চলছে এবং হঠাৎ করে পাথরের দাম বেড়ে যাওয়ায় রাস্তায় কার্পেটিং দিতে একটু দেরি হচ্ছে।রাস্তার ধুলাবালির বিষয়ে প্রশ্ন করলে প্রকৌশলী বলেন,রোডসের বাইরে যে রাস্তা গুলো করা হয় সেগুলোতে ধুলাবালি অপসারণের জন্য পানি দেওয়ার শিডিউল থাকে না, তারপরেও আপনারা যখন অভিযোগ করেছেন আমরা খুব দ্রæতই ব্যাবস্হা নিব।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version