নুরুল ইসলাম, খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের পল্লীতে গাছে গাছে এখন শোভা পাচ্ছে নান্দনিক সাজনে ফুল। সবুজ পাতার মধ্যে ধবধবে সাদা সাজনে ফুল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও ছড়াচ্ছে। সর্বত্র সাজনে গাছে ফুলের কুঁড়িতে সাজিয়ে উঠছে।
শনিবার (৫ ফেব্রæয়ারী) সকালে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মৌসুমের শুরুতেই ফুলে ফুলে ভরে গেছে সাজিনা গাছ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সাজিনার ভাল ফলনের আশা করছেন সাজিনা চাষীরা। আরও দেখা যায়,সম্পূর্ন বিনা পরিচর্চায় ইউনিয়নের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে কমবেশি সাজনে গাছ আছে। অনেকেই বাগানে বেড়ার খুটি হিসেবে সাজনের ডাল রোপন করে। পরে তা জীবন্ত গাছে পরিনত হয়ে সাজনে ধরা শুরু করে।
স্থানীয়রা জানান, বহুগুনে গুনান্বিত যাদুকরি সবজি সাজিনা। ওষধি গুনাগুনেভরা, সুস্বাদু, কোনো উৎপাদন খরচ নেই, অধিক লাভজনক এবং বাজারে ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন সবজি সাজিনা। শীতের রিক্ততা কাটিয়ে এখন ফুলে ফুলে ভরে গেছে সাজিনা গাছ। লক্ষ্য করা যায়, প্রতি বছর মৌসুম ব্যবসায়ীরা সাজনে ধরার পরপরই গাছ মালিকদের অগ্রিম টাকা দিয়ে সাজনে কিনে নেয়। পরে পরিপক্ক সাজনে সংগ্রহ করে পাশ^বর্তী বিভিন্ন জেলাসহ রাজধানীতে বিক্রির উদ্দেশ্য নিয়ে যায়। অনেক কম দানে কিনে তারা উচ্চ মুল্যেও বিক্রি করে বলে জানা যায়। ফলে এক দিকে গাছ মালিকরা সাজনের যথাযথ মূল্যে পায় না। আবার অন্য দিকে নিজ এলাকায় ভাল ফলন উৎপাদন করেও স্থানীয় পর্যায়ে অনেক চড়া দামে সাধারণ ক্রেতাদের সাজনে কিনতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, পুষ্টিগুন দিক থেকে সাজিনা অত্যান্ত উপকারী একটি সবজি। সাজিনা লবণ সহিষ্ণু একটি ফসল। অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রে পরিচর্যার প্রয়োজন হলেও অনেকটা পরিচর্যা ছাড়াই সাজিনার উৎপাদন সম্ভব। সাজিনা অল্প দিনেই খাওয়ার উপযোগী হয় এবং বাজারজাত করা যায়। খেতে সু-স্বাদু ও বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় সাজিনার আবাদ অত্যান্ত লাভজনক। সাজিনা চাষে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে প্রতিবছর সাজিনার ডাল রোপণ করা হয়।