নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে ভারত থেকে অবৈধভাবে পাচার হওয়া দুইটি গরু আটক করে জনতা। এরপর শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন গরু দু’টি ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। রাস্তার মধ্যেই গরু দু’টি আটক করে বিজিবি’র সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রæয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে কালিগঞ্জের মৌতলা এলাকার শিমু রেজা এমপি কলেজের সামনে।
সূত্র জানান, বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে একটি ইঞ্জিন চালিত টলিতে দুইটি ভারতীয় গরু দেখতে পায় স্থানীয়রা। ওই সময়ে দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকার আনিস উদ্দিন গাজীর ছেলে টলি চালক আব্দুল কাদেরসহ গরু দু’টি আটক করে জনতা। এরপর জনতা বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিহিত করে। সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে টলি চালকের কাছে জানতে চাইলে, ভারতীয় অবৈধ গরু দু’টির মালিক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলনের মামা শেখ মহাসিন হোসেনের বলে জানান।
তাৎক্ষণিক সাংবাদিকরা কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার রবিউল ইসলাম ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফাকে ভারতীয় চোরাই গরু দু’টির বিষয়ে অবহিত করে। পরবর্তীতে শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ০১৭১১-৪৫১৮৮৭ নাম্বার দিয়ে ফোন দেন এক সাংবাদিকের কাছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, গরু দুটি তার মামা মহাসিনের। কি কারণে গরু দুটি স্থানীয়রা আটক করেছে জানতে চান তিনি। সাংবাদিকরা ভারতীয় অবৈধ গরু বলে তাকে (দোলন) অভিহিত করেন।
এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম ধুমঘাট এলাকায় তার মামার শেখ ডেইরি ফার্ম নামে একটি গরুর খামার রয়েছে। সেখানে ভারতীয় ও দেশি ৬০-৭০ টি গরু রয়েছে। এছাড়া টলিতে গরু দুটি দেশীয় বলে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তিনি।
কিছুক্ষণ পর উপজেলা চেয়ারম্যনা দোলন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই প্রভাব খাটিয়ে টলি চালককে ঘটনাস্থল থেকে বের করে দেন।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গরুসহ টলিটি কালিগঞ্জ ফুলতলা এলাকায় পৌঁছালে বসন্তপুর বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহলদল আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নীলডুমুর বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের এক কর্মকর্তা বলেন, গরু দুটি বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে। যাচাই-বাছাই চলছে। ভারতীয় প্রমাণ হলে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হবে বলে জানান তিনি।