ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
কলারোয়ায় দুর্নীতিতে বাধাগ্রস্থ একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম
নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় দারিদ্র্য বিমোচনের হাতিয়ার ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্পে দূর্নীতি ভর করেছে। যে স্বপ্ন নিয়ে দারিদ্র্যকে জয় করার লক্ষে যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রকল্পের সেই স্বপ্নের বাস্তবটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
একটি বাড়ি একটি খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রকল্প থেকে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ০১টি পৌরসভায় ঋণ বিতরণ করা হয়েছে প্রায় ২৯ কোটি টাকা। যার মধ্যে ঋণ খেলাপি প্রায় ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়াও বেশ কিছু সদস্যের অনাদায়ি দেখানো হলেও অনেকেই তাদের পাওনা টাকা পরিষদ করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। নতুন সমিতি করে সদস্যদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে সঞ্চয়। প্রতিশ্রæতি দেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের ঋণ প্রদানের। এর মধ্যে ফিল্ড সুপারভাইজার ও মাঠ সহকারী সরকারি আইনকে তোয়াক্কা না করেই নিজ পরিবারের সদস্যদের নামসহ পরিচিতদের নাম দিয়েও একাধিকবার ঋণ নিয়েছেন,সমিতির জুনিয়র অফিসার সালমা খাতুন তার স্বামী দেয়াড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মতিউর রহমানের নামে প্রভাব খাটিয়ে ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন,এছাড়া মাঠ সহকারী আবু সাঈদ,জহুরুল,মোকলেছুর,পারুল,সাবিনা সহ কয়েকজনের পরিবার ও শশুরবাড়ীর সদস্যের নামে নিয়ম বর্হিভুতভাবে মোটা অংকের ঋণ নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় সদেস্যের তালিকায় চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ ধনী ব্যক্তিদের নামও রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি বাড়ি একটি খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কলারোয়া শাখা থেকে ঋণ নেওয়া প্রত্যেক সদস্যদের কাছ থেকে ক্ষুদ্র ঋণের জন্য ২০০টাকা ঘুস এবং এসএমই ও কর্ম সৃজন ঋণ নেওয়ার জন্য ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত ঘুস নেওয়া হয়। ঘুস দিতে রাজি না হলে জুনিয়র অফিসার সালমা খাতুন বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাদের এসএমই ও কর্ম সৃজন ঋণ আটকে দেন। জুনিয়র অফিসার সালমা খাতুন বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে কলারোয়া শাখা থেকে ২০লক্ষাধিক টাকা আতœসাত করে তালা উপজেলার ইসলামকাঠি ইউনিয়নের কাজীডাঙ্গা সুজনশাহ গ্রামে ও খুলনার ময়লাপোতা এলাকায় জমি ক্রয় করেছেন। এছাড়া সমিতির অফিস সহকারী ও কম্পিউটার অপারেটর পলাশের বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন সমিতি ০৬লক্ষ টাকা আতœসাতের অভিযোগে ইতোমধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। কলারোয়াতে যোগদান করার পরে উপজেলা সমন্বয়কারী আরিফুজ্জামান যোগদানের পর তিনি উপজেলার স্থানীয় মাঠ সহকারীদের দুর্নীতি ও অনিয়মের লাগাম টানতে ব্যর্থ হন। ফলে দায়িত্বরতদের অবহেলা অনিয়ম আর দুর্নীতির ফলে সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত আর সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড থেমে যাওয়া সহ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। শুধু তাই নয় ফিন্ড সুপারভাইজার সালমা খাতুন সহ কিছু মাঠ কর্মীর সহায়তায় মাঠ থেকে টাকা আদায় করে নিজেদের কাজে ব্যয় করাসহ পকেট ভরিয়ে সদস্যদের বিভিন্নভাবেও হয়রানি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার অধিকাংশ সমিতির সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেকেই প্রায় ৪-৫ মাস আগে ঋণ পরিষদ করলেও তাদের ঋণ না দিয়ে আজ কাল করে অজ্ঞাত কারণে ঘুরানোসহ কৈশলে উৎকোচ দাবি করছে। অভিযুক্ত সুপারভাইজার সালমা খাতুনের সাথে তার মোবাইল ফোনে কথা হলে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করেই বলেন অফিসে স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ০১টি পৌরসভার সকল সভাপতি ও ম্যানেজার বৃন্দ অনতিবিলম্বে জুনিয়র অফিসার সালমা খাতুন,পলাশ, আবু সাঈদ,জহুরুল,মোকলেছুর,পারুল,সাবিনাসহ দুর্ণীতির সঙ্গে জড়িত সকল কে শাস্তিমূলক বদলি ও বিভাগীয় মামলার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি এলাকার সকল নাগরিক ও জনসাধারণ সরকারী অর্থ তছরুপকারী দুর্ণীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদক খুলনা ও ঢাকা অফিসের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অনিয়ম আর দুর্নীতি অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা সমন্বয়কারী মো.আরিফ্্ুজ্জামান বলেন, আমি অফিসে যোগদানের পূর্বে অফিসে যে সকল সমস্যা ছিল সব সমস্যার সমাধান করা হয়েছে,উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার কে তিনি দুর্ণীতিবাজ অফিসার সালমা খাতুনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে জানিয়েছেন বলে জানান। 8,384,322 total views, 184 views today |
|
|
|