কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ায় মধ্যবিত্তরাও এখন লাজলজ্জা ভুলে ওএমএস এর লাইনে দাঁড়িয়েছে পাঁচকেজি করে চাল আর আটা কেনার জন্য। সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওএমএস এর ডিলারদের দোকানগুলোতে এমন চিত্র লক্ষ করা যায়। খুব ভোরে তখনো ভালভাবে সূর্যের আলো ফোটেনি। পৌরসভার ওএমএস দোকানের সামনে প্রায় একশ জন মহিলা পুরুষদের জটলা তাদের মধ্যে অনেকেই মধ্যবিত্ত বসে আছে। আবার কেউ কেউ লজ্জায় মুক ঢেকে বসে আছে। অনিচ্ছা স্বত্বেও জিজ্ঞেশ করলাম এত সকালে এখানে কি করেন? তাদের মধ্যে ইউনুস আলী নামে ষাটোর্ধ বললেন চাচা চাল আর আটা নিতে এসেছি। এখানে ত্রিশ টাকা করে চাল আর আঠারো টাকা করে আটা দেয়। দেরিতে আসলে পাওয়া যায় না।
তাই সকাল করে এখানে এসেছি। এই দৃশ্য পৌরসভার গোডাউন মোড়ের ডিলার পয়েন্টের। মির্জাপুর গ্রামের রাহেলা বেগম জানান, ৫ কেজি চালে প্রায় ১০০ টাকা বেচে যায়। এটা দিয়ে বাজার করা যায়। সব কিছুর দাম এত চড়া আর কুলাতে পারছি না। এদিকে সংকটকালে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ে মধ্যবিত্তরা। মধ্যবিত্তরা ত্রাণের লইনে দাঁড়াতে পারে না। অভাবের কথা মুখ ফুঁটে বলতেও পারে না। মধ্যবিত্তের অবস্থান মাঝখানে। তাই না পারে নীচে নামতে, না পারে উপরে উঠতে। এই করোনাকালে তাই হাঁসফাঁস করছে মধ্যবিত্ত। মধ্যবিত্তের বাড়তি আয় নেই।
অথচ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বাসভাড়া লাগামহীন ঘরেঘরে বেকারসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধিতে জীবন এবং জীবিকার এই শ্রেণীর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। কলারোয়া পৌরসভার ডিলার নরেন বলেন, আগে দেড় টন করে চাল আর আটা বরাদ্দ ছিল এখন এক টন করে বরাদ্দ কিন্তু চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুন। সকাল দশটার সময় দেওয়ার কথা থাকলেও ভোর পাঁচটায় এসে মানুষ লাইনে দাঁড়ায় থাকে। এর মধ্যে মধ্যবিত্তের সংখ্যাও অনেক। আসলে আমাদের করার কিছুই থাকে না। তিন চার ঘন্টার মধ্যেই অধিকাংশ সময় চাল আটা দেওয়া শেষ হয়ে যায়। বাজারের তুলনায় এখানে চাল আটার দাম কম হওয়ায় মানুষ একটু সুবিধার জন্য দূর দুরান্ত থেকে খুব সকালে এসইে লাইনে দাঁড়িয়ে যায়।