Site icon suprovatsatkhira.com

রাস্তা গিলে খাচ্ছে মৎস্য ঘের ও পুকুর

সুন্দরবন অঞ্চল প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোরা গ্রামে প্রবেশের প্রধান রাস্তাটিতে দীর্ঘ কয়েক বছরের মধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ইটের তৈরি সোলিং রাস্তাটি অত্র এলকার কয়েক হাজার মানুষের একমাত্র চলাচলের পথ। অথচ রাস্তাটি বহু বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকলেও নেয়া হয়নি সংস্কার বা উন্নয়নের কোন পদক্ষেপ। ডিজিটাল বাংলাদেশে সর্বত্র উন্নয়ন হলেও সোরা গ্রামে প্রবেশের এ রাস্তাটির উন্নয়ন না হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। রাস্তার ইট উঠে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তার উপরে হাঁটু সমান পানি জমাট বাঁধে। যানবাহন তো দূরের কথা ওই রাস্তা দিয়ে মানুষ হেঁটে চলাচল করবে তার উপায় নেই। সোরা এলাকার বাসিন্দা নুরুন্নবী ইমন জানান, এক শ্রেণির ব্যক্তি যারা নিজেদের স্বার্থে ইচ্ছা-মত রাস্তার পাশ দিয়ে পুকুর ও ঘের করে রেখেছে। যার ফলে প্রতি বছর রাস্তা ধসে পুকুর ও ঘেরের ভিতরে পড়ে।

এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল গণি জানান, দীর্ঘদিন রাস্তাটির বেহাল দশা হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ রাস্তাটির দিকে খেয়াল করে না। এলাকার বয়োবৃদ্ধ, নারী-শিশু, প্রসূতিসহ রোগীদের উপজেলা সদরে নিতে চাইলে তা হয়ে ওঠে দুর্বিষহ কষ্টের। তিনি আরো জানান, সোরার রাস্তার জরাজীর্ণতার বিষয়টি নিয়ে বার বার বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের বার বার অবগত করলেও কোন প্রকার আমলে নেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আসছে বর্ষা মৌসুমের আগে রাস্তার পাশ দিয়ে পুকুর ও ঘের পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে উক্ত রাস্তাটি পুরোপুরি ভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এ বিষয়ে রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন বলেন, রাস্তাটির পাশ দিয়ে কিছু ব্যক্তি ঘের ও পুকুর করে রাখায় প্রতি বছর রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মাইকিং করে সতর্ক করা হবে। তিনি আরো জানান, আগামীতে বরাদ্দ এলে রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version