Site icon suprovatsatkhira.com

নির্বাহী প্রকৌশলীর কাজ পরিদর্শন

সমীর রায়, আশাশুনি : ‘বর্ষা মৌসুমের আগেই ঠিকাদারকে টেঁকসই বেড়িবাঁধের কাজ শেষ করতে বলেন। খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীর জলে ফের ডুবতে চাই না’।
গতকাল বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা ও হরিশখালী গ্রামে বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে আসা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইনের সামনে বিনীত এ আরজি জানান প্রতাপনগর ইউনিয়ন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের যুগ্ন আহŸায়ক আফজাল হোসেন।
তিনি বলেন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে আমরা হতাশ। আম্পান পরবর্তী বিগত দুবছর খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষের জোয়ার ভাটায় ভেসেছি। বর্ষার আগে টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ না হলে আবারও নদীর জলে ডুবতে হবে।

প্রতাপনগরের কোলা গ্রামের ও হরিশ খালির দক্ষিণ পশ্চিম অংশের প্রায় ১১ কি. মি. সংস্কারাধীন বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধটির অবস্থা এমনই যে পরিদর্শনে আসা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সহ অন্যান্য কর্মকর্তা বৃন্দ পায়ে হেঁটে যেতে ব্যর্থ হন। কোন কোন স্থানে এক ফুট, কোন স্থানে দুই ফুট সরু বেড়িবাঁধ অবশিষ্ট রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিনিধি সৈয়দ আছাদুজ্জামান চান্দুর কাছে চলমান কাজের ধীর গতির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা সরকার নিয়ন্ত্রিত ড্রেজারে বালু না দেওয়ায় কাজের পরিবেশ পাই না তাই দেরি হচ্ছে। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করব বলে আশাবাদী।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাতক্ষীরা অফিসে যোগদানের পর হরিশখালির ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের এই স্থানে প্রথম আসেন। দীর্ঘদিন ধরে চলা সংস্কারাধীন এ বেড়িবাঁধটি তিনি পরিদর্শন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে অতি দ্রæত কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

২০২০ সালের ২০ মে মহা প্রলয়ঙ্করী জ্বলোচ্ছাস ঘুর্নিঝড় আম্ফান ও ২১ সালের ২৬ মে ঘুর্নিঝড় ইয়ার্স পরবর্তী হরিশখালির এই ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধটি নির্মাণ সংস্কার কাজ দু’বছর ধরেও সম্পন্ন করতে না পারার ব্যর্থতা ঠিকাদার, পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যেতে পারেন না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। পরিদর্শন কালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মাসুম বিল্লাহ, সাবেক ছাত্রনেতা মিলন, যুবনেতা কাজমীর হোসেন, মৎস্য ব্যবসায়ী আল. রফিকুল ইসলাম গাজী, মৌ. নুর মোহাম্মদ গাজী প্রমুখ।

উল্লেখ্য ২০২০ সালের ২০ মে আম্পান ঝড়ে প্রতাপনগর ইউনিয়নের মাইলের পর মাইল বেড়িবাঁধ ভেঙে ২২ গ্রাম লÐভÐ হয়ে যায়। রিং বাঁধ দিয়ে কয়েকটি গ্রামে জোয়ার ভাটা আটকানো হয়। কিন্তু ঠিক পরের বছর ২৬ মে ইয়াশ ঝড়ে প্রায় সব রিং বাঁধ ভেঙে ফের তলিয়ে যায় প্রতাপনগর। পরবর্তীতে শীতের আগে নদীর স্রোত কম হলে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আলী. দাউদ গাজীর নেতৃত্বে শতশত মানুষ রিং বাঁধ দিয়ে এলাকায় জোয়ার ভাটা বন্ধ করে। এরপর থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মুল বাঁধ বাঁধার কাজ শুরু করেন। ভাঙন আতংক কাটাতে ও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ অতি দ্রæত সম্পন্ন করার জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version