Site icon suprovatsatkhira.com

জমি দখল করতে গিয়ে ফলজ গাছ কাটলেন প্রতিপক্ষরা

সুন্দরবন অঞ্চল প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামে জমির মালিকানা নিয়ে দ্ব›েদ্ব ফলজ গাছপালা কেটে ফেলে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা দ্ব›দ্ব পৌঁছিয়েছে আদালত পর্যন্ত। তারপরও থামছে না মারামারি ও জমি দখলের পাঁয়তারা। ২৯একর সরকারি সম্পত্তির এক অংশে বসবাস করেন গাবুরার ৯নম্বর সোরা গ্রামের জাফর গাজীর ছেলে মোস্তফা গাজী(৫৫)। গত ৩১ ডিসেম্বর একই গ্রামের নওশের আলীর নেতৃত্বে ১২ থেকে ১৫ জনের একটি বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হবে হামলা চালায় মোস্তফা গাজীর পরিবারের উপর। দীর্ঘক্ষণের হামলায় আহত হন দুইজন। আহতরা শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন বলেন জানান আহতদের স্বজনেরা। হামলার শিকার হওয়া মোস্তফা গাজী বলেন, নওশের গাজীর সাথে জমি জমার বিরোধ চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। ইতিপূর্বে আমি আইনি সহায়তা স্বরূপ সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানি মামলা করি (দেওয়ানি ২২৮/২১) এবং মামলাটি চলমান।

গত শুক্রবার বেলা আনুমানিক সাড়ে দশটা নওশের গাজীর নেতৃত্বে তার ছেলে রেজাউল ইসলাম (৩০), কামরুল ইসলাম (২৮), ইকবাল (২৬) ইলিয়াস (২৪), ইয়াসিন (২২)সহ ডুমুরিয়া গ্রামের আক্কাস আলী পাড়ের ছেলে আব্দুর রহমান (৪৫), রেজাউল গাজী স্ত্রী সালেহা খাতুন (২৪) ও কামরুল কাদেরের স্ত্রী সাবিনা খাতুন (২৩) জমিটি দখল করতে আসে। সেখানে থাকা বিভিন্ন ফলজ গাছ কাটতে থাকে। আমরা বাধা দিতে যাওয়ায় তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। তিনি আরো বলেন, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় আমাদেরকে বেধড়ক পেটায়। বর্তমানে দুইজন শ্যামনগর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন তারা হলেন, জাফর গাজীর ছেলে রুহুল কুদ্দুস (৪০) ও রুহুল আমিন (৪২)। উপায়ান্তর না দেখে আমি সরকারি বিশেষ সেবা ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে তার দায়িত্ব-ভার পড়ে শ্যামনগর থানার পরিদর্শক রিপন মল্লিকের কাছে। তিনি স্থানীয় সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্য মনজুর হোসেনের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলেই দুই পক্ষকেই কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

স্থানীয় মেম্বার ঘটনাস্থল ত্যাগ করলেই পুনরায় শুরু হয়ে যায় দখলদারদের সেই কর্মকান্ড। এসময় ভূমি-দস্যুরা আমাদের বসতভিটায় থাকা তিনটা কদবেল গাছ, একটা তেঁতুল একটা ও ছোট একটা ডালিম গাছ কেটে ফেলে এবং তাৎক্ষণিক সেটা সেখান থেকে গাছের গুঁড়ি সরিয়ে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার মনজুর হোসেন বলেন, প্রশাসন মারফত সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখি বেশ কয়েকটা গাছ কাটা অবস্থায় আছে। তৎক্ষণাৎ সেটা বন্ধ করে দেই এবং উভয় পক্ষকে থানায় যেয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করে আসি। পরবর্তীতে কি হয়েছে আমি জানি না। এ বিষয়ে অভিযুক্ত নওশের গাজী সম্পূর্ণ বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version