ফারুক হোসাইন রাজ, কলারোয়া : কলারোয়ায় ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা প্রতিরোধক ফাইজার টিকা স্বল্পতা থাকার কারণে টিকাদান কার্যক্রম তিন দিন বন্ধ রেখেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ড. হুসাইন সাফায়েত। তিনি বলেন, গত ৯ জানুয়ারি থেকে জেলার সকল উপজেলার ন্যায় কলারোয়াতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফাইজার টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়। সাতক্ষীরা জেলাতে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার টিকার চাহিদা দেওয়া হয়েছিল।
বিদেশ থেকে টিকার ফ্লাইট ও টিকা ট্রান্সপোর্ট এসি সংরক্ষণ ব্যবস্থা জটিলতার কারণে সাময়িক ফাইজার টিকা ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। আজকের দিন পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী ৪০ হাজার টিকা ঘাটতি ছিল। শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন চাহিদা অনুযায়ী ৭০ হাজার টিকা এসেছে যা সকল উপজেলার টিকার ঘাটতি মিটাবে। কিন্তু ৭০ হাজার ফাইজার টিকা আসলেও টিকার সাথে মিশ্রণের জন্য কোন স্যালাইন সাদৃশ্য পানি আসেনি। তিনি আরো জানান, জেলায় টিকার জন্য মজুদ থাকা ২০ হাজার পানি দিয়ে চালানো হবে। তবে ৫০ হাজার টিকার জন্য পানি এখনও ঘাটতি রয়েছে। এটি পানি জাতীয় ডায়াসল্ট দিয়ে মূলত করোনার ইনজেকশন মেশানো হয় সেটির ঘাটতির জন্য পুনরায় চাহিদা দেয়া হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী টিকার মিশ্রণ পানি ৫০ হাজার পেলে জেলার সকল উপজেলার শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধক ফাইজার টিকার স্বল্পতা ও ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, গত ৯ তারিখ থেকে ৮ দিনের মধ্যে ৫ দিনে ১৫ হাজার ৪২০ জন শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। ফাইজার টিকা না থাকার কারণে চলমান কার্যক্রমের ৮ দিনের মধ্যে ৩ দিন শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। পুনরায় ৫ হাজার ফাইজার টিকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে টিকা পেলে আগামীকাল থেকে আবারও উপজেলার গার্লস পাইলট হাইস্কুল ও জি,কে,এম,কে সরকারি পাইলট হাইস্কুলে টিকা কেন্দ্রে ১২ থেকে শুরু করে ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা প্রদান করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই প্রধান কাজী নাজমুল হাসান বলেন, উপজেলাতে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে টিকা প্রদান কেন্দ্র করা হয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধক ফাইজার টিকা দেয়া হচ্ছে। টিকা প্রদান বিষয়ক মিটিংয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন উপজেলাতে ১২ থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফাইজার টিকা না থাকার কারণে গত ৩ দিন দেওয়া হয়নি। তবে ভ্যাক্সিন প্রাপ্তি সাপেক্ষে বাকি শিক্ষার্থীদের ১৮ তারিখের মধ্যে টিকা প্রদান সম্পন্ন করতে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।