নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনিতে সরকারি রাস্তার পাশে চিংড়ি চাষ করতে হলে ঘেরের নিজস্ব আউট ড্রেন ও বেড়িবাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করতে হবে। সরকারি রাস্তাকে নিজস্ব ঘেরের বেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করায় রাস্তার খুব ক্ষতি হচ্ছে। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষে আশাশুনি সদরের সাপ্তাহিক হাটে মাইকিং করে অনুরোধক্রমে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ৩ দিন ধরে পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল ইউনিয়নে মাইকিংয়ের মাধ্যমে চিংড়ি চাষীদের সরকারি বিধি মোতাবেক আউট ড্রেন নির্মাণ করে ঘের পরিচালনা করতে সচেতন করা হবে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ২/১ টি ইউনিয়ন বাদে প্রায় সব কয়টি ইউনিয়নে চিংড়ি চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু সরকারি রাস্তার পাশে প্রায় প্রত্যেক মাছ চাষী সরকারি রাস্তাটিকেই মৎস্য ঘেরের নিজস্ব বেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। পানির ঢেউয়ে ও রাস্তার নীচে পানি থাকার কারণে রাস্তার খুব ক্ষতি হয়। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সকল রাস্তার নির্মাণের কয়েক মাসের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সাতক্ষীরা টু কোলা-ঘোলা সড়ক, হলদিপোতা টু প্রতাপনগর, হলদিপোতা টু বাঁকা বাজারসহ প্রায় প্রত্যেক খাল সংলগ্ন মৎস্য ঘেরে এ চিত্র দেখা যায়। আবার অনেকেই রাস্তার ধারে পুকুর নির্মাণ করে থাকেন। এসব পুকুর সংলগ্ন সড়ক গুলো দ্রæত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খান বলেন- নিজস্ব মৎস্য ঘেরের আউট ড্রেন ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করে চিংড়ি চাষ করা সরকারি নীতিমালা পরিপন্থি। চিংড়ি চাষ করতে হলে সরকারী বিধি মোতাবেক সরকারি রাস্তার পাশে ৫ ফুট আউট ড্রেন তৈরি করতে হবে। সরকারি রাস্তার ক্ষতিসাধন ফৌজদারি দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৩১ ধারা মোতাবেক দÐনীয় অপরাধ। এ আইনে পাঁচ বছরের কারাদÐ বা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। যারা আইন অমান্য করে সরকারি সম্পদ নষ্ট করার অপচেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।