Site icon suprovatsatkhira.com

শ্যামনগরে রেডিয়েন্ট হ্যাচারি এখন জমির মালিকদের দখলে

এস, এম, মোস্তফা কামাল : শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেঁকী সংলগ্ন রেডিয়েন্ট শ্রীম্প কালচার হ্যাচারি অ্যান্ড নার্সারির স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মো. সফিকুর রহমান চৌধুরী নন-জুডিসিয়্যাল স্ট্যাম্পে লিখিত স্বেচ্ছায় চুক্তিপত্র বাতিল করে মৎস্য প্রজেক্ট ছেড়ে দিয়েছেন। রেডিয়েন্ট শ্রীম্প কালচার হ্যাচারি অ্যান্ড নার্সারি স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মো. সফিকুর রহমান চৌধুরী এ প্রকল্পের চুক্তিপত্রের শর্তসমূহ ভঙ্গ করায় মালামাল, পুকুর, পুষ্কনী, পুকুরের মাছ সহ জমির মালিকদেরকে দিয়ে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) জমির মালিকদের ২০২০ ও ২০২১ সালের প্রাপ্য জমির হারীর ৩০ লক্ষ টাকা পরিশোধের সময় নিয়েও দিতে ব্যর্থ হয়ে প্রকল্পের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মো. সফিকুর রহমান চৌধুরী এ সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে (১৯ জানুয়ারি) বুধবার শ্যামনগরের নওয়াবেঁকী সংলগ্ন উত্তর আটুলিয়ায় রেডিয়েন্ট শ্রীম্প কালচার হ্যাচারির প্রকল্প অফিস কক্ষে আলহাজ্ব মো. সফিকুর রহমান চৌধুরী স্ব- উদ্যোগে স্থানীয় আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু, নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম, জমির মালিকগণ, গণমাধ্যম কর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।

মতবিনিময় সভায় আলহাজ্ব মো. সফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, এ প্রকল্পে ব্যবসায়িক দারুণ ক্ষতি হওয়ায় জমির মালিকদের জমির হারীর টাকা পরিশোধ করতে ও চুক্তিপত্র শর্তাবলী সঠিকভাবে মান্য করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না বা হবে না। আটুলিয়া ও কুপট মৌজার জেএলনং ১০৬ ও ১০৭ সিট নং ১ ও ৭, এ প্রকল্পে কয়েক শত বিঘা জমিতে বাগদাসহ অন্যান্য মাছের প্রজেক্ট করতে গত ১ জানুয়ারি ২০১৪ সাল হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সাল পর্যন্ত জমির মালিকদের সাথে চুক্তিপত্র হয়। জমির হারীর টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে বার বার ওয়াদা খেলাফ হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবুর মধ্যস্থতায় কয়েক বার সালিসী বৈঠকে টাকা পরিশোধের সময় নিয়েও ব্যর্থতা আসে। প্রজেক্টের চুক্তিপত্র মোতাবেক শর্তসমূহ পালনে ব্যর্থতায় তিনি চুক্তিপত্র বাতিল করেন এবং তার কর্মচারীদেরকে উঠিয়ে নিয়ে সকল মালামাল রেখে প্রকল্প ছেড়ে চলে যান।

এ প্রকল্পের আওতায় আলহাজ্ব মো. সফিকুর রহমান চৌধুরী যদি সকল জমি বা সম্পদ জীম্মায় রেখে ব্যাংক বা সংস্থা থেকে লোন বা ঋণ গ্রহন করে থাকলে তার দায়ভার তিনিই বহন করবেন মর্মে নন-জুডিসিয়্যাল স্ট্যাম্পে লিখিত স্বেচ্ছায় ডিড চুক্তিপত্র বাতিল করে মৎস্য প্রজেক্ট ছেড়ে দেন। এখন থেকে জমির মালিকগণ স্ব স্ব জমি ভোগ দখল বা অর্জিত মালামাল ভোগ দখল করতে পারবেন বলে জানানো হয়। এ নিয়ে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বা তিনি কোন প্রকার আপত্তি থাকবে না বা আপত্তি করলে আইন আমলে আসবে না মর্মে স্ট্যাম্পে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version