Site icon suprovatsatkhira.com

পশ্চিম সুন্দরবনে প্রজনন মৌসুমে চলছে কাঁকড়া আহরণ

এস, এম, মোস্তফা কামাল : পারমিট বন্ধ থাকা সত্তে¡ও পশ্চিম সুন্দরবনে প্রজনন মৌসুমে চলছে কাঁকড়া আহরণ। কাঁকড়া আহরণ প্রজনন মৌসুমে অসাধু কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা বনবিভাগ স্থানীয় প্রশাসন ও কতিপয় ব্যক্তিদের আর্থিক সুবিধায় ম্যানেজ করে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণ অব্যাহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়া আহরণ করার ফলে প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্যামনগরের সুধীমহল খুলনা বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জীব বৈচিত্র্য পরিবেশ বিশেজ্ঞদের মতে জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারি এ দুই মাসে নদীতে কাঁকড়ার প্রজনন ঘটে। যার কারণে প্রতিবছরের এ দুইমাস সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণের পারমিট সরকারিভাবে বন্ধ থাকে। এ সময় সুন্দরবন উপক‚লীয় কাঁকড়ার হ্যাচারী গুলোতে কাঁকড়া সরবরাহ ও কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও বন্ধ থাকে। হ্যাচারী ও ব্যবসা চালু রাখতে পারুলিয়া, কলবাড়ী, হরিনগর, নওয়াবেঁকী ও ভেটখালী বাজারের কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা বনবিভাগ স্থানীয় প্রশাসন ও কতিপয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণ অব্যাহত রয়েছে মর্মে গুঞ্জন অব্যাহত রয়েছে। সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণের পারমিট বন্ধ থাকলেও সাদা মাছ আহরণের পারমিট দেওয়া হচ্ছে। আর অসাধু বনজীবীরা সাদা মাছের পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে গিয়ে কাঁকড়া আহরণ অব্যাহত রেখেছে।

এছাড়া বন বিভাগের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১২০ গ্রাম ওজনের মেয়ে কাঁকড়া ও ২০০ গ্রাম ওজনের পুরুষ কাঁকড়ার নিচে (কম) ওজনের কাঁকড়া আহরণ করা যাবে না। ২৫ ফুট এর কম চওড়া খালে মাছ কাঁকড়া আহরণ বা আটোল দ্বারা কাঁকড়া আহরণ করা নিষিদ্ধ। অথচ দেখা গেছে বন বিভাগের সদস্যদের পক্ষ থেকে নেই কোন আইনগত ব্যবস্থা। সুন্দরবন থেকে বনজীবীরা যে পরিমাণ ছোট কাঁকড়া আহরণ করছে তাতে এক সময় কাঁকড়া শিল্প বিলুপ্ত হতে পারে বলে শঙ্কা সচেতন মহলের। জানা গেছে, সুন্দরবন সুরক্ষা তথ্য সংগ্রহ ও অপরাধ দমনে এবং পর্যবেক্ষণ কাজে ব্যবহারের জন্য পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের ৪টি রেঞ্জে ৪টি হালকা ড্রোন এর ব্যবস্থা করেছেন বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

২০২১ সালের প্রথম দিকে সুন্দরবনের ১২ জন কর্মকর্তাকে ৪দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারপরও থেমে নেই সুন্দরবনের অপরাধ মূলক কার্যক্রম। বনজীবীরা সাদা মাছের পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে শুধু কাঁকড়া আহরণ করছে না তারা সুন্দরবনের মূল্যবান কাঠ ও মায়াবী হরিণও নিধন করছে বলেও অভিযোগ আছে। বর্তমান সময়ে সুন্দরবন থেকে প্রতিনিয়ত কাঁকড়া লোকালয়ে আসার দৃশ্য প্রতীয়মান হয়েছে’। এ বিষয়ে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্চের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান মুঠো ফোনে জানান, ‘কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের টাকা লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানা নেই। তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে সুন্দরবনের কাঁকড়া আহরণ বন্ধ আছে। তবে কোন বাজারে বেচা কেনা হওয়ার সংবাদ পেলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করব’।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version