Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনিতে মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধ প্রসস্থ করে জোয়ারের পানি আটকানোর উদ্যোগ

সমীর রায়, আশাশুনি : আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট থেকে বলাবাড়িয়া গ্রামে খোলপেটুয়া নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬৫০ মিটার রাস্তা নেই ২৬ বছর। নদীর জোয়ারের পানি আটকানো হয় ব্যক্তি মালিকানাধীন চিংড়ি ঘের মালিক সামিয়া শ্রিম্ফ লি. এর সরু বাঁধ দিয়ে। এই বাঁধ দিয়েই এত বছর ধরে হেঁটে বা সাইকেলে মানুষ যাতায়াত করেছে। শুকনো বা বর্ষা মৌসুমে বলাবাড়িয়া গ্রামে যেতে পারেনি তিন চাকার কোন যানবাহন। সারাদেশে যখন উন্নয়নের জোয়ার চলছে সেখানে বলাবাড়িয়া গ্রাম আজও অজ পাড়াগাঁয়ে পরিণত। বলাবাড়িয়া গ্রাম সংলগ্ন কয়েক হাজার বিঘায় চিংড়ি সহ অন্যান্য মৎস্য চাষ হয়ে থাকে। কয়েকটি পোল্ট্রী ফার্মও রয়েছে গ্রামটিতে। বর্ষা মৌসুমে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার কারণে উৎপাদিত হাজার হাজার মণ মাছ ও ফার্মের ডিম বাজার পর্যন্ত পৌঁছাতে চাষীদের দুর্বিসহ যন্ত্রনায় পড়তে হয়।

স্কুলের শিক্ষার্থীরা বর্ষা মৌসুমে কাদাপানিতে নাকানিচুবানি খেয়ে স্কুল কলেজে পড়াশোনা করে থাকে। রোগীদের বাঁশের দোলা করে প্রধান সড়কে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
গত বছর আম্ফানে চিংড়ি ঘেরের এ রাস্তাটির ৫ জায়গায় ভেঙে যায়। উপজেলা সদরের সাথে বলাবাড়িয়া গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যয়। ৪০ দিন পর সরকারি বরাদ্দ ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামত করে জোয়ারের পানি আটকানো হয়। এ ৪০ দিন মানুষ ভাটা নামলে ভাঙন স্থল পার হয়ে আশাশুনি সদরে কাজ মিটিয়ে আবার জোয়ার আসার আগেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন সহযোগিতা না পেয়ে চলাচলের বা স্বাভাবিক জীবন যাত্রার মান সমুন্নত রাখতে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান হোসেনুজ্জামান হোসেন সামিয়া শ্রিম্ফ লি. এর মালিকের সাথে কথা বলে রাস্তাটি মেরামত করে সম্প্রসারিত করার অনুরোধ জানান। বর্তমানে ১০ ফুট প্রস্থ, ৫ ফুট উঁচু ও ১৫ ফুট ¯েøাব দিয়ে মোট ৭০০ মিটার রাস্তাটি মেরামত করার কাজ চলছে।

ইউপি চেয়ারম্যান হোসেনুজ্জামান হোসেন বলেন, বলাবাড়িয়া গ্রামবাসীর দুঃখ দুর্দশার কথা ও চিংড়ি চাষিদের সহজে উৎপাদিত মাছ বাজারজাত করণের কথা বিবেচনা করে আমি সামিয়া শ্রিম্ফ মালিকের সাথে কথা বললে তিনি এলাকাবাসীর কথা চিন্তা করে আমার অনুরোধে সাড়া দিয়ে কাজ শুরু করেছেন। কাজ চলছে খুব দ্রæত মাটির কাজ শেষ হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি তারা রাস্তাটি টেঁকসই করতে জিও ব্যাগ ও কার্পেট দিয়ে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী হলে পরিষদের পক্ষ থেকে ইটের সোলিং করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া খোলপেটুয়া নদীর বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া মুল বেড়িবাঁধটি পূনঃনির্মানে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নির্মাণাধীন রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী হচ্ছে দেখে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর মধ্যে খুশির ছোঁয়া লেগেছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version