Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনিতে মানছে কেউ না করোনা সতর্কতা

আশাশুনি প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস ও নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রণ এর সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা আশাশুনি উপজেলার মানুষ মানছে না বললেও অত্যুক্তি হবেনা। ফলে সচেতন মহলে হতাশা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

করোন ভাইরাস শুরুর পর থেকে দ্বিতীয় ঢেউ পর্যন্ত আশাশুনি উপজেলায় সর্বমোট ২৭৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। যার মধ্যে ৯ জন মারা গিয়েছিল। নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রণ সংক্রমণ শুরুর পর থেকে অদ্যাবধি প্রায় ৪০ জন করোনা টেষ্ট করিয়েছেন। যার মধ্যে ৩ জনের পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। এরমধ্যে ১৯ জানুয়ারি ১ জনের ও ৩০ জানুয়ারি ২ জনের পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। ৩০ জানুয়ারি ৩ জনের করোনা টেষ্ট করা হয়, যার মধ্যে ২ জনের পজেটিভ হয়।

আশাশুনি উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে করোনা বা ওমিক্রনের উপসর্গ নিয়ে মানুষ ভুগছেন। সবাই পরীক্ষা করাতে না আসায় আসলে তারা পজেটিভ না নেগেটিভ তা সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। তবে উপজেলার সকল যানবাহন, হাটাবাজার, পথঘাট, দোকান পাটে সরকারি ভাবে করোনা সংক্রমণ রোধে নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। কোথাও জনসচেতনা সৃষ্টি বা অমান্যকারীদের প্রতিরোধে কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

এছাড়া অফিস পাড়ায় ইতিপূর্বে যে হাতধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা বর্তমানে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়ে আছে। অফিসে ‘নো মাস্ক নো সেবা’ সেই পুরনো সাইবোর্ড এখনো লটকানো থাকলেও সেটি কার্যকর করতে দেখা যাচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচার প্রচারনা বা প্রতিরোধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। সবমিলে উপজেলার প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে কোন সচেতনতা সৃষ্টি বা প্রতিরোধের ব্যাপারে কোন কার্যক্রম না থাকায় মানুষ অবহেলা ও নির্দেশ অমান্য করেই চলেছে। কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সচেতন মহল জোর দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খাঁন জানান, এনিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিটিং হওয়ার পরে আমরা আশাশুনির সকল নতুন ও পুরাতন চেয়ারম্যানবৃন্দকে নিয়ে মিটিং করেছি। তাদেরকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। আমরাও সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছি। দুঃখের কথা হলো, মানুষ এখন মাস্ক ব্যবহার বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনিহা দেখানোয় আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version