নিজস্ব প্রতিনিধি : গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ৩য় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে দেবহাটায় নির্বাচনি সহিংসতা থামছেই না। ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে হামলা-পাল্টা হামলা ও মামলা। এতে ভীতি বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। কুলিয়া ও সখিপুর ইউনিয়নে ১ ডিসেম্বর ঘটে যাওয়া দুটি সহিংসতায় আরো পৃথক পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। এতে দুই মামলায় ৮ জন আসামিকে আটক করেছে দেবহাটা থানা পুলিশ। কুলিয়া ইউনিয়নের দেউকুলে বসতবাড়িতে প্রবেশ করে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মৃত কাশেম বিশ্বাসের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪২) বাদী হয়ে ১০জনকে আসামি করে (১ ডিসেম্বর) একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ মামলায় ৫ জন আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। অপরদিকে সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে পরাজিত চেয়ারম্যানের বাড়ি নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ৬নং ওয়ার্ডের গ্রাম-পুলিশ ফারুক হোসের উপর জনতার হামলার ঘটনায় তার মা ফতেমা খাতুন বাদী হয়ে (১ ডিসেম্বর) ১০ জন সহ ৩০/৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় কামটা গ্রামের কানাই লালের ছেলে গোপাল মন্ডল (৫২), উত্তর সখিপুরের মৃত শাহজউদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহিম (৫০) ও সখিপুরের নুর আলী মোল্যার ছেলে বিল্লাল হোসেন (২৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বর্তমানে এসব এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে সাধারণ মানুষ সহিংস কর্মকান্ড পরিহার করতে উভয়কে স্বাভাবিক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, কুলিয়া ও সখিপুরের ২টি ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৮ আটক করা হয়েছে। আটক আসামিদের বৃহস্পতিবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কঠোর অস্থানে পুলিশ।