Site icon suprovatsatkhira.com

খাজরায় পাকা আমন ধান ঘরে তোলা নিয়ে সংশয়

নুরুল ইসলাম, খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরায় চলতি আমন মৌসুমে আবাদকৃত পাকা আমন ধান কৃষকের ঘরে তোলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ঘূর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে অসময়ে মেঘ,বৃষ্টি রোদ এর প্রধান কারণ বলে স্থানীয় কৃষকরা মনে করেন। শুক্রবার(১০ ডিসেম্বর) দূর্গাপুর বিল ঘুরে দেখা যায়,ইউনিয়নের দূর্গাপুর,পিরোজপুর,রাউতাড়া,খালিয়া,ফটিকখালী,তুয়ারডাঙ্গা,মুরারীকাটি বিলে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে এবার আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। শুরুতেই অতি বৃষ্টির কবলে পড়ে কৃষকদের কয়েক দফা বীজতলা তৈরী করতে হয়েছিল। আমন ধান আবাদে অনেকট আশা হারিয়ে ফেলেছিল স্থানীয় প্রান্তিক চাষিরা। সব বাধা অতিক্রম করে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে চলতি মৌসুমে আমন ধান আবাদ করেছিল। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুলে থাকায় ফলনও মোটামুটি ভাল হয়েছিল।

কিন্তু ঘূর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা তিন দিনের গুড়িগুড়ি বর্ষায় খাজরায় ডাঙ্গা জমিতে আমন ধানের কেটে রাখা ফসল ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। তারপর কিছু দিন আবহাওয়ার একটু উন্নতি হলে কৃষক-কৃষাণীরা ক্ষেতে রাখা ফসল ঘরে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা অব্যহত রাখে। সবশেষ বৃহস্পতিবার আবারও বৃষ্টির কারণে অনেকে ধান ঘরে তুলতে পারেনি। অসমেয় বৃষ্টির ফলে ইতিমধ্যে কৃষকের স্বপ্নের ফসলে ছড়িকাটা পোকার আক্রমন শুরু হয়ে গেছে। ফলে পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তবে আজ সকালে আবারও রোদের ঝলমলে আলোয় কৃষকরা ধান গোজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে দেখা যায়।

ফটিকখালী গ্রামের প্রান্তিক চাষি বিধান চন্দ্র মন্ডল জানান,এবার ফটিকখালীতে পানি সরবরাহ কম থাকায় ধানের চাষ অনেকটা ক্ষীন হয়ে আসছিল। অতিরিক্ত টাকা খরচ করে কয়েক বিঘা জমি আবাদ করেছি। ফসল খুব ভাল হয়েছে। আমার দেড় বিঘা জমির ধান কেটে ক্ষেতে রেখেছি। বৃহস্পতিবার বৃষ্টিতে সেই ধান ভিজে গেল। ধান ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছি।
হাল্কা ঝড়ো হাওয়ায় অনেক পাকা ধান গাছ নুয়ে পড়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version