রেজওয়ান উল্লাহ, জালালাবাদ(কলারোয়া) প্রতিনিধি: শীতের আগমন ঘটেছে প্রকৃতিতে। সারাদিন রোদের রাজত্ব শেষে সন্ধ্যা নামতে নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। হঠাৎ করে গত কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহ ও কনকনে ঠাÐায় গরম কাপড় গায়ে চড়িয়েছে মানুষ। প্রকৃতিও বদলাচ্ছে তার রূপ। এখনো জেঁকে বসেনি শীত।
বুধবার সরজমিনে বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, গরম পোশাকের দোকানগুলোতে মানুষের ভিড়। আর উপজেলা সদরের ফুটপাতে বসেছে গরম কাপড়ের দোকান। নিম্ন আয়ের মানুষের উপস্থিতি উল্লেকযোগ্য। যা দিন দিন বাড়ছে। বড়বড় বিপণি বিতানগুলোতেও ভিড় করছে নানান বয়সী ক্রেতা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় শীতের পোশাক কিনতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষ্যনীয়।
উপজেলা সদরের ফুটপাতের পুরাতন শীত কাপড়ের ব্যবসায়ী নওয়াবালী জানান, এবার আগাম শীত আসায় গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। প্রতিদিনই গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। তবে পুরো শীত পড়লে এ বছর ব্যবসা ভালো হবে বলে আশা করছেন তিনি। শীতের গরম কাপড় কিনতে এসেছিলেন শংকরপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, হঠাৎ করেই দুদিন থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তাই বাড়ির নাতি-নাতনিদের জন্য হালকা শীতের কিছু গরম কাপড় কিনতে এসেছেন তিনি। আমদানি কম থাকায় চাহিদা মত পোশাক এখন পাননি জানান। যা মিলছে তার দাম একটু বেশি বেশি মনে হচ্ছে মন্তব্য করেন তিনি।
উপজেলার বড় বিপণি বিতান বাবু গার্মেন্টস,স্টার টেইলার্স,খান গার্মেন্টসে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কথা হয় কয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোহেল রানার সাথে। তিনি জানান, হালকা শীতেই বাজার করে নিচ্ছেন তিনি। সামনে নাকি শৈত প্রবাহ আসছে তখন পুরো শীত পড়লে বাজারে গরম কাপড়ের আমদানির সাথে সাথে দামও বাড়বে তাই। কলারোয়া পৌরসভা মার্কেটের সামনে শিশু মেলার কাপড়ের দোকানদারা বলেন, শীতের আগমনী বার্তায় গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে।
এখন হালকা শীতের কাপড়গুলো বিক্রি হচ্ছে। কৃষিনির্ভর এলাকা হওয়ায় আমন ধান মাড়াই শেষে ধান বিক্রি করে হাতে টাকা আসলে বেøজার, জ্যাকেট, মেয়েদের লং জ্যাকেট, কার্ডিগান বিক্রি শুরু হবে পুরোদমে। করোনার প্রভাবে গত মৌওসুমে ব্যবসা মন্দ হলেও এবার ভাল হবে আশা করেন তিনি।