Site icon suprovatsatkhira.com

ঈশ্বরীপুরে নির্বাচনি সহিংসতায় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্যামনগরের ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নে নির্বাচনি সহিংসতায় অর্ধ-শতাধিক কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা ও স্বতন্ত্র দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যস্ত শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর বাসস্ট্যান্ডে দফায়ে দফায়ে নির্বাচনি প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে উভয়পক্ষের ৩০ নেতা-কর্মীকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে ও আহতরা জানান, আগামী ৫ জানুয়ারির ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নৌকার প্রার্থী শোকর আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদেকুর রহমান সাদেমের কর্মী-সমর্থকরা মিছিল বের করে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়েটার দিকে বংশীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিল পরস্পরকে অতিক্রমের সময়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ। এ সময় দুই পক্ষই একে অপরের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের শতাধিক কর্মী সমর্থক বংশীপুর বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন অংশে অবস্থান নিয়ে পরস্পরের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।

খবর পেয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থেকে নিবৃত্ত করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও লাঠি চার্জ করে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিকুর রহমান সাদ্দামের ভাই আবদুল ওহাব জানান, তাদের শাস্তিপূর্ণ মিছিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকার প্রার্থী শোকর আলীর লোকজন। এসময় সাদিকুর রহমানের ২৫-৩০ জন কর্মী-সমর্থক গুরুতর আহত হয় বলেও তিনি দাবি করেন।

জিএম শোকর আলীর কর্মী হাবিবুর রহমান জানান, সাদিকুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা কোন উস্কানি ছাড়াই তাদের নির্বাচনি কার্যালয়ে হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে প্রার্থী জিএম শোকর আলীর অস্তত ৩০ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

শ্যামনগর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, আহতদের চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে রাবার বুলেট ছোঁড়ার বিষয়টি এখনই নিশ্চিত না হয়ে বলতে পারছি না’।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version