স্টাফ রিপোর্টার: আশাশুনির কুঁন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতের রায় বহাল রেখে সিভিল রিভিশন মামলার রায় স্টে করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। রায়ের পরও আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মিটিং ও কমিটি কার্যক্রম অব্যহত রাখার ঘটনায় অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কুঁন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে শিক্ষা অফিস, নব গঠিত কমিটি ও প্রধান শিক্ষক জটিলতায় পড়লে ক্ষুব্ধ স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিধান চন্দ্র মন্ডল জেলা জজ আদালতে ৫/২০২১ নং মামলা রুজু করেন। বিবাদী করা হয় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আবু সেলিমসহ অন্যদের। বিজ্ঞ আদালত ১/৪/২১ তাং উভয় পক্ষকে অন্তুর্ভূক্ত করে যত শীঘ্র নিরপেক্ষ আইনানুগ ও অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশাশুনিকে নির্দেশ প্রদান করে রায় প্রদান করেন। রায়ের বিরুদ্ধে আবু সেলিম ৫/৯/২১ তাং হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন ১৫৭৭/২১ মামলা করেন।
বিজ্ঞ আদালত ৩০/৯/২১ তাং জেলা জজ আদালতের রায় স্টে করেন। (অভিযোগ রয়েছে আবু সেলিম সরকারি কর্মকর্তা হয়েও ডিপার্টমেন্টের অনুমতি না নিয়ে মামলা করেন। অপরদিকে ৫/২১ মামলার বাদী পক্ষ কোন নোটিশ পাননি।) রায়ের বিরুদ্ধে বিধান চন্দ্র মন্ডল ১৮ নভেম্বর আপীল করলে বিজ্ঞ আদালত ২৩ নভেম্বর (সিভিল রিভিশন ১৫৭৭/২১) মামলার রায় স্টে অর্ডার ভ্যাকেট করেন। ফলের জেলা জজ আদালতের রায় বহাল রয়েছে।
রায় সংক্রান্ত নথি উপজেলা শিক্ষা অফিসের মেইলে ২৩ নভেম্বর ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে হাতে হাতে ২৪ নভেম্বর পৌছানোর ব্যবস্থা করা হলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কপি ছিড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উপরন্তু ২৫ নভেম্বর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও রবীন পাশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বসে তার সহযোগিতা নিয়ে স্কুলের ব্যাংক একাউন্ট অপারেটর পরিবর্তনের জন্য রেজুলেশন এবং স্কুল (প্রাইমারী) ছুটির পর গভীর রাত পর্যন্ত মিটিং করে মামলার বাদিকে জব্দ করতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি থানায় অভিযোগ করে মেয়াদ উত্তীর্ণ না হলেও বাদীকে ইজার নেওয়া জমির মাছ ধরে নিতে বাধ্য করে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রায়ের কপি শিক্ষা অফিস ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে পৌছানোর পর থেকে বাদীর উপর চাপ প্রয়োগ ও হুমকী ধামকী দেওয়া হচ্ছে বলে বাদী পক্ষ অভিযোগ করেছেন।