ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ধর্ণা দিল সংগ্রাম কমিটি
স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ পালনের বছরেও সাতক্ষীরায় মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবহ গণ-কবর ও বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকারিভাবে সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হলেও সাতক্ষীরায় শহীদের তালিকায় বিতর্কিত নাম থাকায় সে স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করা হয়নি। প্রতিবছর বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস আসলে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বপক্ষের লোকজন এ নিয়ে কথা বলা ও পত্রপত্রিকায় কিছু লেখালেখি হলেও দিবস দুটি চলে যাওয়ার পর এ সম্পর্কিত আর কোন তৎপরতা দেখা যায় না। প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রতিশ্রæতি দেন। কিন্তু প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়ন হয় না। তাই এবার সাতক্ষীরা বধ্যভূমি সংরক্ষণ সংগ্রাম কমিটি প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের কাছে ‘ধর্ণা’ দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজনীতিবিদ জনপ্রতিনিধি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে নিয়মিত ধর্ণা দেবে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বপক্ষের লোকজন। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১টা থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অবস্থান করেন সাতক্ষীরা বধ্যভূমি সংরক্ষণ সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ। পরে তারা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সাক্ষাৎ পান। এ সময় সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে সার্বিক বিষয় জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয় এবং আগামী ২৫ মার্চ ২০২২ এর মধ্যে সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী দিনেশ কর্মকারের আদি ভিটায় অবস্থিত বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। একই সাথে সাতক্ষীরা কালেকটরেট চত্বরে নির্মিত স্মৃতিসৌধে শহীদদের নাম নিয়ে জটিলতা নিরসনেরও দাবি জানানো হয়। জেলা প্রশাসক নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শোনেন এবং আগামী স্বাধীনতা দিবসের পূর্বেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান। সংগ্রাম কমিটির আহŸায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার ও সদস্য সচিব অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলুর নেতৃত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক কমিটির আহŸায়ক মো. আনিসুর রহিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মোস্তফা নুরুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. ইউনুস আলী, সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গনি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষ, স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত প্রমুখ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফতেমা-তুজ জোহরা, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একে হিরু, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, অ্যাড. মনির উদ্দীন, মনিরুজ্জামান জমাদ্দার, ওহাব আলী সরদার প্রমুখ। 8,971,524 total views, 3,206 views today |
|
|
|