এসএম মোস্তফা কামাল : শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী মলয় কুমার গায়েন পাঁচবার জন্মগ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক। পাঁচটি জন্ম তারিখ উল্লেখ করে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাচন অফিসার (রিটার্নিং অফিসার) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ‘শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী মলয় কুমার গায়েন বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন জন্ম তারিখ ব্যবহার করেছেন।
এরমধ্যে ওই অভিযোগে তিনি পাঁচটি জন্ম সাল ও তারিখ উল্লেখ করেছেন। জন্ম সাল ও তারিখগুলো যথাক্রমে- ৫-৮-১৯৮৩ সালের ভোটার তালিকায় জন্ম সাল ১৯৬৪। তখন মেম্বর প্রার্থী মলয় কুমার গায়েনের বয়স ছিল ১৯ বছর। এরপর ২০০০ সালের ভোটার লিস্টে জন্ম তারিখ ২২-১০-১৯৭২, ২০০৮ সালের ভোটার তালিকায় জন্ম তারিখ ১-৭-১৯৬২ এবং শ্যামনগর ইউনিয়ন পরিষদ দপ্তরে জন্ম সনদে জন্ম তারিখ ছিল ২-৬-১৯৬২, ডিজিটাল জন্ম সনদপত্রে ২-১১-১৯৬৮। তবে নকিপুর এইচসি পাইলট হাইস্কুলে লেখা পড়াকালীন জন্ম তারিখ ছিল-২-১১-১৯৬৮। এছাড়া ২০২১ সালের গোপালপুর ভোটার এলাকার তালিকায় ক্রমিক নং ৩৩৭, ভোটার নং ৮৭১৪২৭৯৮৭৩৬৬, সেখানে তার জন্ম তারিখ ১-৭-১৯৬২ আছে’। জানা গেছে, গোপালপুর গ্রামের মলয় কুমার গায়েনের পিতা মেঘনাথ গায়েন মাতা -বাসন্তী রানী গায়েন।
একজন মেম্বর প্রার্থীর একাধিক জন্ম তারিখের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় শ্যামনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় প্রার্থিতায় সঠিক জন্ম তারিখ যাচাই বাচাই পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক। তবে এ বিষয়ে মলয় কুমার গায়েন জানান, ‘তার জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ টা সঠিক। তবে জাতীয় পরিচয় পত্রটি না দেখে সঠিক জন্ম তারিখ বলতে পারব না’। তিনি আরো বলেন, ‘আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন’। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে ভোটার তালিকায় যে বয়স আমরা পেয়েছি তাতে ওই প্রার্থী বয়স ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে। সুতরাং জাতীয় পরিচয়পত্র আর ভোটার তথ্য হালনাগাদ থাকলে এবং বয়স ঠিক থাকলে প্রার্থিতায় কোন প্রভাব পড়ার কথা না’।