নুরুল ইসলাম, খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরা টু আমাদী খেয়াঘাটটি দীর্ঘদিন নানা সমস্যা জর্জরিত হয়ে বেহালদশায় পরিণত হয়েছে। যার ফলে খাজরা হতে আমাদীগামী এবং খুলনা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খাজরাগামী জনসাধারণ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে খেয়াঘাটটি সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়,বর্তমানে কপোতাক্ষ নদের খাজরা টু আমাদী খেয়াঘাটটির দুই তীরে পলি জমে খেয়াঘাটের জনসাধারণের যাতায়াতের রাস্তাটি খুবই ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। একটি করে ইট বিছানো হয়েছে। তা আবার জোয়ার ভাটায় ভিজে পিচ্ছিল হয়ে গেছে। একটুখানি অসাবধান হলেই ঘটে যাবে দুর্ঘটনা। খাজরা তীরে ইটের সারি দিয়ে কোনভাবেই একজনের চলাচলের রাস্তা দেখা যায়। নদের কাছাকাছি দুটি বাঁশ বেধে সাকো তৈরী করে পারপারকৃত নৌকায় উঠতে হচ্ছে।
সার ভাটিতে নদীতে দুই থেকে তিন হাত পানি থাকে। ফলে বর্তমান কর্দমাক্ত এই ঘাট দিয়ে মটর সাইকেল পারাপার একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। আরও লক্ষ করা যায়,খাজরা থেকে দৈনিক শতশত যাত্রী কয়রা তকিমুদ্দীন কলেজ,হাইস্কুল,জায়গীরমহল ব্যাংক,কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ঢাকা,খুলনা শহরে বেশিরভাগ এই খেয়াঘাট ব্যবহার করত। বর্তমানে খেয়াঘাটটির দুরবস্থার কারণে যাত্রী পারাপার অনেকাংশে কমে গেছে। বয়স্ক,শিশু,রোগী পারাপারে সবচেয়ে সমস্যার সম্মুখীন বেশি হতে হয় বলে স্থানীয়রা জানান। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই কর্তৃপক্ষের নজর পড়েনি।
প্রতিবেদন তৈরির সময় এক খেয়া মাঝি জানান,আগে আমরা প্রায় দশটির মত নৌকা এই ঘাটে চালাতাম। যাত্রী কম হওয়ায় এখন মাত্র চারটি নৌকা আছে। অনেক মাঝি এই পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় নিযুক্ত হয়েছেন। আমরা সরকারের কাছে এই খেয়াঘাটটি সংস্কার পূর্বক আধুনিক মানসম্মত ঘাট নির্মাণের আকুল দাবি জনাচ্ছি।
ঘাট ইজারাদার আনিছুর রহমান জানান,দীর্ঘদিন এই ঘাটটি সংস্কার করা হয় না। আমি ব্যক্তিগত খরচে বালুর বস্তা,বাঁশ,কাদা মাটি দিয়ে কোনরকম খেয়া পারাপারের ব্যবস্থা অব্যহত রেখেছি। ঘাটে মটর সাইকেল পারাপার না হওয়ায় আমার অনেক টাকা কম আয় হচ্ছে।
খাজরা টু আমাদী খেয়াঘাটটি পূনরায় সংস্কার করা গেলে এই অঞ্চলের বিশেষ করে খাজরা গ্রামে উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল খুলনা জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সরবরাহ বেড়ে যাবে। ঘাটটি আধুনিকায়ন করতে পারলে যোগাযোগের নতুন এক মাত্রা যোগ হবে।
ঘাটটি সংস্কার করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এলাকাবাসী আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।