Site icon suprovatsatkhira.com

খাজরায় ২০০ বছরের প্রাচীন বটবৃক্ষের তলে একদিন

নুরুল ইসলাম, খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরার পল্লীতে প্রায় ২০০ বছরের অধিক সময় ধরে কালের স্বাক্ষী হয়ে এখনও মাথা উঁচু করে আছে কয়েকটি বট বৃক্ষ। কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল এসব বট বৃক্ষ ভীষণ মমতাময়ী এক বৃক্ষ। অজ¯্র শাখা-প্রশাখা আর শতসহ¯্র পাতাজুড়ে কালের বিশাল ইতিহাস। আর সেই বিশাল ইতিহাসের সাক্ষী খাজরা ইউনিয়নের পিরোজপুর,খাজরা বাজার,খাজরা নদীর ধারে প্রায় দুইশত বছরের পুরোনো বটবৃক্ষ। আর এই এসব বটবৃক্ষকে ঘিরে রয়েছে নানান উপকথা। প্রকৃতি এই অবাক শিল্প উপভোগ করার পাশাপাশি গল্প শুনেও আনন্দ পাওয়া যায়। এখনো ঔই এলাকার বয়োবৃদ্ধদের কাছে শুনা যায় এর ইতিহাস।
বুধবার(১ডিসেম্বর) ইউনিয়নের কয়েকটি বটবৃক্ষ ঘুরে জানা যায়,পিরোজপুর গ্রামের মৃত মথুর সানা ২০০ বছর আগে এই বৃক্ষটি রোপন করেন। সেখান থেকে এখনও টিকে আছে এই সবুজ পাতার দীর্ঘ আকৃত্তির বৃক্ষ। খাজরা বাজারের খাজরা সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের পাশেই অবস্থিত আরেক বিশাল আকৃত্তির বটগাছ। বটগাছটি প্রথম কে রোপন করেছিল বা কিভাবে হল তা নিয়েও রয়েছে একাধিক মন্তব্য। কপোতাক্ষ নদের রাস্তা ধরে এগুলোই খাজরা বারুইপাড়া দূর্গা মন্দির সংলগ্ন চোখে পড়বে আরেকটি বটবৃক্ষ। এছাড়াও চেউটিয়া বাজার,হাজরা-হাজরীর থানসহ আরো অনেক ছোট-মাঝারী বটবৃক্ষ চোখে পড়বে।

দীর্ঘ ২০০ বছর সেও কম না। লক্ষ্য করা যায় বট গাছ অযতেœ বা অবহেলায় হলেও দিন দিন তা বেড়ে ওঠতে থাকে। গাছটি ডালপালা ছড়াতে থাকে আর তার বিস্তৃতি বাড়তে থাকে। তারপর একদিন গাছটি ইতিহাসের অংশ হয়ে যায়। হাজারো মানুষ গাছের নিচে বিশ্রাম নিতো।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা জানান,বিশাল আকারের বটগাছ। ছায়াঘেরা শীতল পরিবেশ চারপাশে। ডানে বামে সামনে পেছনে যেদিকে তাকাই বট ছাড়া কিছু নেই। ঘুরছি দেখছি আর ভাবছি কী বিশাল বটবৃক্ষ। যার দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে আমরা তো বটেই যে কেউ মোহিত হবেন। এখন গাছটি শুধু ছায়াই দিয়ে যায়। শত শত মানুষ গাছটির নিচে বসে বিশ্রাম নেয়। গরম মৌসুমে খাজরা বাজারের বটবৃক্ষে তলে ঘর্মাক্ত মানুষের ঘুমাতে দেখা যায়। পথচারী ক্লান্ত শরীর নিয়ে বটবৃক্ষের তলে হাফ ছেড়ে বিশ্রাম নিতেও দেখা যায়।

বর্তমানে খাজরা বাজারের বটবৃক্ষটি আশপাশে মালিকানা স্বত্ত¡ ভবন থাকায় ডালপালা প্রশাখা বৃদ্ধি হওয়ার সুযোগ নাই। পিরোজপুর বটগাছটি মালিকানা জমির উপর হওয়ায় সেটাও বৃদ্ধিতে রয়েছে নানা বাধা।
তবে প্রায় ২ শত বছরের পুরাতন বটবৃক্ষ গুলোকে বাঁচিয়ে রাখা ও তার সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এর ইতিহাস অনেক। সরকারি বেসরকারি বা ব্যক্তি উদ্যোগে এসব প্রাচীন বটবৃক্ষ গুলোকে সংরক্ষন করে এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা গেলে সবাই কম বেশি উপকৃত হবে বলে স্থানীয় জানান। তারা গাছগুলোকে সংরক্ষর করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version