নিজস্ব প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রী ধর্ষণের পর সন্তান সম্ভবনা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যনালের বিচারক মামলাটি কালিগঞ্জ থানাকে রেকর্ড করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চাঁচাই গ্রামে। ধর্ষণে অন্তঃস্বত্তার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে ধর্ষক কলেজছাত্র সোহাগ হোসেন বাবু এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেছে।
বিষয়টি মীমাংসার জন্য কতিপয় ব্যক্তি স্কুলছাত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য ভুক্তভোগীর বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিন চাঁচাই গ্রামে গেলে মামলা সূত্র, ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী, তার বাবা, মা, বড় বোনসহ স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চাঁচাই গ্রামের বিদেশ ফেরত ছবিলার রহমান মোড়লের ছেলে দক্ষিণ শ্রীপুর কুশুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের এবারের এইচ এস সি পরীক্ষার্থী সোহাগ হোসেন বাবু প্রতিবেশী এক দিনমজুর ব্যক্তির পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া শিশুকন্যাকে প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে।
এরপর সে স্কুল ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত¡া হয়ে পড়লে বিষয়টি জানতে পেরে সোহাগ হোসেন বাবু কয়েক মাস পর বিয়ে করে ঘরে তোলার প্রতিশ্রæতি দেয়। একই সাথে সে বিষয়টি কাউকে বললে ধর্ষিতাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এর মধ্যে স্কুল ছাত্রী অন্তঃসত্ত¡ার হওয়ার বিষয়টি ৬ মাস পর তার পরিবারের লোকজন জানতে পারে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘটনাটি তার বাবা মাকে জানায়। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে ধর্ষিতার পরিবার গত ২ ডিসেম্বর কালিগঞ্জে অবস্থিত যমুনা ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাফি করালে মেয়েটি ২৮ সপ্তাহ অন্তঃসত্ত¡া রিপোর্ট আসে।
ঘটনাটি জানতে পেরে অভিযুক্ত কলেজছাত্র সোহাগ হোসেন বাবু বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
পরে সোহাগের পিতা ছবিলার রহমান স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিষয়টি ম্যানেজ করে কৌশলে অন্তঃসত্ত¡া স্কুল ছাত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকে। তারা রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীর পরিবারকে হুমকি প্রদান করে।
ধর্ষিতার মা জানান, গত ৭ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে কলেজ ছাত্র সোহাগ হোসেন বাবু কে আসামি করে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে পিটিশন মামলা (নং-৫৪৫/২১) দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে রেকর্ড ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
এদিকে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য অভিযুক্ত কলেজ ছাত্রের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে তার চাচা আবু সাঈদ ও গোলাম মোস্তফা সাংবাদিক দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে জানায়, আমরা মামলায় দেখে নেব, আপনারা যান