নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়া প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারি সার্জনের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ উঠেছে। সরকরী দায়িত্ব পালন করার আড়ালে তিনি সরকারি ওষুধ খোলা বাজারে বিক্রি প্রাণী খাদ্য আত্মসাতসহ অবৈধভাবে কাড়ি কড়ি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। মহা ক্ষমতাধর এই ভিএসের নাম ডা: সাইফুল ইসলাম। অভিযোগ তিনি মাস্তানি স্টাইলে পুরো অফিসের কর্মকর্তাসহ কর্মচারীদের তোড়াই কেয়ার করে চলেন। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় সরকারের চাকুরি বিধি মান্য করা যেন তার সাথে যায় না।
সম্প্রতি পাণীখাদ্য ৩০ কেজির স্থলে ২০/২৫ কেজি বিতরণকে কেন্দ্র করে জনৈক খামারি ও এক সংবাদ কর্মীর হামালার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বেরিয়ে আসছে তার একের পর এক অপকর্ম।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, হাঁস মুরগীসহ গরু ছাগলের খামারিদের জিম্মি করে ভেটেনারি সার্জন ডা: সাইফুল ইসলাম হতিয়ে নিচ্ছেন টাকা। এসব কাজে অসহতায় ও সরল মনা খামারিদের বাগে আনতে তিনি পালন করছেন দালাল টাইপের এক শ্রেণীর দুর্বত্ত। এমনকি অফিসের অবসরে যাওয়া কর্মচারীদের তিনি দালাল হিসেবে ব্যবহার করছেন।
উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদের ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি তার একটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি মহা চিন্তায় পড়ে যায়। উপায় অন্তর না পেয়ে ৮০০ টাকা ভ্যান ভাড়া করে অসুস্থ গরুটি নিয়ে কলারোয়া প্রাণী সম্পাদ অফিসে যান।
প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারি সার্জন ডা: সাইফুল ইসলামকে গরুটির সু-চিকিৎসার অনুরোধ করা হয়। গরু অসুস্থ হওয়ার কথা শুনে তিনি বিজ্ঞানিদের মতো গভীর ধ্যনে মগ্ন থাকার মতো করে ভরাট গলায় অপেক্ষা করতে বলেন। পরে এদিকে সেদিক তাকা তাকি করেন। কিছু সময় পর ঐ অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি মিজানুর রহমান পড়ি মরি করে ছুটে আসেন।
আমার অসুস্থ গরুর চিকিৎসার কথা শুনে ভিএসের দালাল মিজানুর বলেন আপনার গরু বাড়িতে নিয়ে যান আমি ও সাইফুল স্যারকে নিয়ে আপনার বাড়ি আসছি। প্রাণী সম্পদ অফিসে গরুটির চিকিৎসা দিতে অনুরোধ করলে ভিএস গরু নিয়ে বাড়ি যেতে বলেন। অন্যথায় চিকিৎসা হবে না বলে হুমকির শুরে নির্দেন করেন। নিরুপায় হয়ে তিনি গরু নিয়ে বড়ি ফেরেন। অফিস টাইম চলাকালিন সময়ে দালাল মিজানু ভিএসকে নিয়ে তার বাড়িতে যেয়ে সরকারি স্যালাইন ও ইনজেকশন দিয়ে ২৫০০ টাকা আদায় করে। এসময় উক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রাণী সম্পদ অফিস/ হাসপাতালে কেন দেয়া হলো না জিজ্ঞাসা করলে ভিএস উত্তর না দিয়ে টাকা নিয়ে চলে যায়।
রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, মিজানুর রহমান অবসরপ্ত হয়েও কিসের ভিত্তিতে কলারোয়া প্রাণী সম্পদ অফিসে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এভাবে চলতে থাকলে কলারোয়ার খামারিগন নি:স্ব হয়ে যাবে। মিজানুরদের মতো দালাল পালনকারি ভিএসদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এ অঞ্চলের খামিরা খামার পরিচালনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভেটেরিনারি সার্জন সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আছে নানা অভিযোগ। খামারিদের চিকিৎসা না দিয়ে সারা দিন কোম্পানির লোক নিয়ে বসে থাকেন।
কলারোয়া প্রাণী সম্পদেন যোগদার করার পর থেকে এক মাত্র তার আচরণগত সমস্যা ও অর্থলোভ থাকায় খামারিরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার প্রদত্ত ওষুধ না দিয়ে আত্মসাত করছেন। গত মাসে কলারোয়ার জালাবাদ গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও শংকরপুর গ্রামের আজহরুল ইসলামের গরু নামসর্বস্ব কোম্পানির টাকার বিনিময়ে ইনজেশন পুশ করে গরু মেরে ফেলেন। রায়টা, খোর্দবাটরা, ধানদিয়া, কেরালকাতা এলাকায়ও তার ভূল চিকিৎসার খবর পাওয়া গেছে। কলারোয়ার খামারিগণ তার অত্যাচার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে ভিএস ডা: সাইফুল ইসলাম ঘটনা কৌশলে এড়িয়ে যেয়ে বলেন, অভিযোগগুলো সঠিক নয়।