Site icon suprovatsatkhira.com

কলারোয়ার উত্তর বাঁটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

রেজওয়ান উল্লাহ,জালালাবাদ(কলারোয়া) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে নিভৃত এক গ্রামে মনোরম পরিবেশে ১২৬নং বাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ও ঝুকিপুর্ণ শ্রেণিকক্ষে চলছে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান। এ বিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছাত্রছাত্রী পঞ্চম শ্রেনির গন্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ট শ্রেনিতে লেখাপড়ার সুযোগ লাভ করে। বর্তমানে এ বিদ্যালয় ১১২ জন শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে অধ্যায়ন করছে। শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয়টি ক্লাসের পাঠদান চালাতে গিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জায়গার অভাবে হিমশিম খাচ্ছে।

বিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ২০০৯সালে ৩৩শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্টিত করা হয়। এর পর ২০১৩সালে এটি জাতীয়করণ করা হয়। বর্তমানে এতে ১১২ জন শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে ১২৬নং বাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ও ঝুকিপুর্ন শ্রেনিকক্ষে চলছে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান। ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করার জন্য রয়েছে ১ টি টিন শেডের আধাপাকা দুই রুম বিশিষ্ট ঘর। তা আবার নেই কোন জানালা দরজা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় একটি রুমে ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাস করছে অপর একটি রুম শিক্ষকদের অফিস হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে যা সম্প্রতি তালা- কলারোয়ার ১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহর অনুদানে তৈরি করা হয়।
২০০৯ সালে তৈরী টালীর ছাউনি ও চাঁচের ঘরে তাতে বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রচন্ড গরমে ঘেমে ভিজে ক্লাস করতে হয় গরমের সময়ে কোমলমতি শিশুদের।

তা আবার অধিকাংশ টালি ভেঙ্গে গেছে ভাঙ্গা স্থান দিয়ে পানি পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে বাঁশ। চালের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে সূর্য। বৃষ্টি পানি পড়ছে শিক্ষার্থীর গায়ে। পুরাতন ঘরটি এক দিকে হেলে পড়েছে।যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে ঘরটি।সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে কর্দমাক্ত হয়ে যায় ক্লাস রুম গুলো।১১২ জন শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত পরিমান বই থাকলেও ক্লাস করার জন্য রয়েছে মোট ১৬টি বেঞ্চ। দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
এভাবেই বছর পর বছর ধরে ভগ্নদশার টালী চাঁচের ঘরে চলছে পাঠদান। সোমবার সরজমিনে যেয়ে দেখা যায় টালী ভেঙ্গে যাওয়ায় অনেক স্থান দিয়ে ঘূর্ণিঝড় “জওয়াদ” এর ফলে নিন্মচাপের বৃষ্টিপাতে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয় কোনো সীমানা(বাউন্ডারী)দেয়াল না বিদ্যালয় ভেতর দিয়ে যাতায়াত করছেন বহিরাগত লোকজন। রয়েছে মাদকসেবীদের আনাগোনা। সীমানা প্রাচীর না থাকায় বিদ্যালয় অরক্ষিত রয়েছে। এতে শিক্ষকশিক্ষার্থীরা প্রায়ই নিরাপওহীনতায় থাকেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ভালো হওয়ায় দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত শ্রেণি কক্ষ না থাকায় একটি টিনেশেডের ঘরে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। অবহেলিত এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে প্রায় ১২ বছর ধরে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে আসছে এই আদর্শ বিদ্যা পিঠটি। কিন্তু অনেক বছর পার হলেও এখনও এই বিদ্যাপীঠটিতে কোন প্রকারের আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি এই বিদ্যাপিঠ নানা সমস্যায় জর্জরিত। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভবন সঙ্কট। শ্রেনিকক্ষ সঙ্কট, বেঞ্চের সঙ্কট,বøাকবোর্ডের সংকট, জরুরি কাগজপত্র রাখার জন্য নেই পর্যাপ্ত-পরিমাণ-আসবাবপত্র। আশানুরূপ ছাত্রছাত্রী থাকলেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও শ্রেণিকক্ষের সংকট, বৈদ্যুতিক ফ্যান না থাকাসহ অন্তহীন সমস্যায় পাঠদান ব্যবস্থা দিন দিন মুখ থুবড়ে পড়ছে। শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটের কারণে বাধ্য হয়ে কমলমতি শিক্ষার্থীদের জরাজীর্ণ ছোট ঘরে ক্লাস করানো হচ্ছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version