নভেম্বর ১৬, ২০২১
কলারোয়ায় খেজুরের রস আহরণে ব্যাস্ত গাছিরা
রেজওয়ান উল্লাহ, জালালাবাদ (কলারোয়া) প্রতিনিধি: শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবারো কলারোয়ার জনপদের গাছিরা খেজুরের রস আহরণের জন্য তোড়জোড় শুরু করেছেন। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গাছিরা (রস আহরণের জন্য নিয়োজিত ব্যক্তি) খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। শুরু করেছেন খেজুর গাছের প্রাথমিক পরিচর্যাও। যাকে বলা হয় ‘গাছ তোলা’। এক সপ্তাহ পরই আবার গাছে ‘চাছ’ দিয়ে গুজা লাগানো হবে। খেজুর গাছ থেকে রস বের করতে তিনটি স্তর পেরিয়ে ১৫-২০দিন পরেই রস আহরণ শুরু। কলারোয়া উপজেলার সোনাবড়িয়া,কেরালকাতা,কামারালী,চন্দনপুর,গয়ড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে রস আহরণের পালা। কলারোয়া উপজেলার পশ্চিমে বিভিন্ন গ্রামে বিল ও রাস্তার পাশে এখন চোখে পড়ছে খেজুর ‘গাছতোলা’ ও ‘চাছা’র দৃশ্য। গাছিরা এখন মাঠে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ১৬ নভেম্বর সোমবার উপজেলার সিমান্তবর্তী এলাকা সোনাবাড়িয়া,চন্দনপুর,কেড়াগাছি,কেরালকাতা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও কাঁচাপাকা সড়কের পাশে খেজুর গাছ কাটার (পরিচর্যা) এমন অসংখ্য দৃশ্য চোখ পড়ে। আর কিছুদিন পরই গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধুবৃক্ষ থেকে সুমধুর রস বের করে গ্রামের ঘরে ঘরে শুরু হবে গুড়, পাটালি তৈরীর উৎসব। গ্রামে গ্রামে খেজুরের রস জ্বালিয়ে পিঠা, পায়েস, মুড়ি-মুড়কী ও নানা রকমের মুখরোচক খাবার তৈরি করার ধুম পড়বে। আর রসে ভেজা চিতই পিঠা,খুলামুছির স্বাদই আলাদা। নলেন গুড়, ঝোলা গুড় ও দানা গুড়ের সুমিষ্ট গন্ধেই যেন অর্ধ ভোজন। রসনা তৃপ্তিতে এর জুড়ি নেই। নলেন গুড় পাটালির মধ্যে নারিকেল কোরা, তিল ভাজা মিশালে আরো সুস্বাদু লাগে।
উল্লেখ্য, খেজুর গাছ আন্যন্য গাছের মত বপন করে বা সার মাটি দিয়ে তৈরি করা লাগে না। প্রাকৃতিক নিয়মেই মাঠে পড়ে থাকা খেজুরের আঁটি (বীজ) থেকে চারা জন্মায়। সৃষ্টি হচ্ছে খেজুরের বাগান। সাধারণত বিলের মাঝের আইলের উপর, কাঁচা রাস্তার পাশে বা উন্মুক্ত জমিতে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই বেড়ে ওঠে খেজুর গাছ। 8,599,643 total views, 7,522 views today |
|
|
|