Site icon suprovatsatkhira.com

শ্যামনগর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

এস,এম,মোস্তফা কামাল: শ্যামনগরে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।১৯ নভেম্বর(শুক্রবার) শ্যামনগর হানাদার মুক্ত দিবসে শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের যৌথ আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্য দান, বর্ণাঢ্য র‌্যালী, আলোচনাসভা, দোয়া অনুষ্ঠান,লাঠিখেলা, জারিগান সহ অন্যান্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।বর্ণাঢ্য র‌্যালীটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের হল রুমে আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম আবুজর গিফারী।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ জামান সাঈদ, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক অধ্যক্ষ জি এম ওসমান গণি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল, সাবেক কমান্ডার এম এ মজিদ, শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী শহিদুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি এস এম কামরুল হায়দার নান্টু, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গাজী আবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান প্রমুখ।আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সদস্যবৃন্দ বক্তব্যে জোর দাবী তুলে বলেন,বাংলাদেশের প্রথম হানাদার মুক্ত এলাকা শ্যামনগর নতুন প্রজন্মকে বিষয়টি অবহিত করতে উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর কর্মসূচি গ্রহণ করা ও উদ্যাপন করা প্রয়োজন।

এ ছাড়া উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় বিষয়টি রেজুলেশন করে ইউনিয়ন পর্যায়েও উদ্যাপন করার বিষয়ে দাবী জানান। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় শ্যামনগর মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও সন্তান কমান্ডের সদস্যবৃন্দের মধ্যে ২৫০টি শীত বস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়। আকষ্মিক এ আক্রমণের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুললেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেনি। টানা তিন মাসে পাক বাহিনী শ্যামনগর সদরে ৫/৬ বার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে ও ১৮ নভেম্বর রাতের আঁধারে শ্যামনগর ত্যাগ করে। তখনই মুক্তিযোদ্ধারা এসে শ্যামনগর দখল নেয়। এরপর স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version