নভেম্বর ২৭, ২০২১
বড়দল-খাজরা সড়ক খানাখন্দে পরিনত দ্রæত সংস্কার দাবী
সমীর রায়, আশাশুনি : আশাশুনির বড়দল বাজার টু খাজরা সড়কের কয়েকটি স্থানের বড়বড় খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। যাত্রীবাহী ইঞ্জিন ভ্যান, নসিমন, আলমসাধু, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল আরোহীরা প্রতিনিয়ত এসব খানাখন্দে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এ দুরাবস্থা চললেও কর্তৃপক্ষ রয়েছেন না দেখার ভান করে। সরজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিনাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বড়দল বাজারের দক্ষিন দিকে খ্রিস্টান মিশন সংলগ্ন কার্পেটিং রাস্তার কয়েক জায়গায় পিচ ও পাথর উঠে বড়বড় খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। এতে বাজারের আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মালামাল বহনকারী ইঞ্জিন ভ্যান প্রায়ই মালামাল নিয়ে বেকায়দায় পড়ে। কপোতাক্ষ নদ ভরাট হয়ে যাওয়ায় পাশ্ববর্তী আমাদী বাজার ও খাজরা বাজারের মালামাল বড়দল বাজারে আসে খাজরা বাজার হয়ে কালকি গেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (কার্পেটিং) রাস্তা দিয়ে। কপোতাক্ষ ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ রাস্তার গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। কারণ কয়েক বছর আগেও শিবসা কপোতাক্ষ নদ পাড়ি দিয়ে বড়দল বাজারের মালামাল খুলনা থেকে লঞ্চ যোগে আসতো। এখন নদী নেই বললেই চলে তাই কার্পেটিংয়ের এই সরু পথই এ এলাকার সবে ধন নীলমণি। কালকিগেটের দক্ষিন দিকে খাজরা এবং উত্তর দিকে বড়দল ইউনিয়ন। বড়দল ইউনিয়নের বাইনতলা, পাচপোতা, বড়দল খাজরা ইউনিয়নের গজুয়াকাটি ও রাউতাড়া বিলের ধান মাঠ থেকে উঠিয়ে এ সড়ক দিয়েই যারযার বাড়িতে পৌছায়। এর বিকল্প কোন পথ নেই বললেই চলে। আমাদের খাজরা প্রতিবেদক নুরুল ইসলাম জানান- বড়দল বাজার থেকে সরু কার্পেটিংয়ের রাস্তাটি খাজরা বাজার চলে এসেছে। রাস্তা সরু বিধায়ই ট্রাক বা বাস চলাচল করতে পারে না। মোটরসাইকেল, নসিমন, ইঞ্জিন ভ্যান, আলমসাধু, ট্রলি, পা-ভ্যান এ এলাকার যাত্রী বা মালামাল বহনের প্রধান সহায়ক। ধান ওঠার মৌসমেই এ রাস্তা নিয়ে বেশি সমস্যা দেখা যায়। কারণ তখন সবার মাঝে ধান নিয়ে বাড়ী ফেরার তাড়া থাকে। কিন্তু দুটো ভ্যান একসাথে এ রাস্তায় সহজে ক্রস করতে পারে না। এরমধ্যে কালকি গেটের উত্তর-দক্ষিন দুই পাশেই রাস্তা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। পিচ, পাথর ও বালি উঠে বড়বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে কালকি গেটের ওই খানাখন্দে পড়ে মোটরসাইকেল ও ইঞ্জিন ভ্যান উল্টে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কালকি গেট থেকে ৫০০ গজ দক্ষিনে রাউতাড়া গ্রামের রাজবংশী পাড়ার তিন রাস্তার মোড়। এ মোড়ের অবস্থা আরও ভয়াবহ। খাজরা বাজারের দিকে যেতে কার্পেটিং রাস্তার পিচ, পাথর তো দুরে থাক রাস্তার মাটি বেরিয়ে গর্ত হয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন বালি দিয়ে গর্ত ভরাট করে চলাচল করছে। এর কিছু দুর এগিয়ে রাউতাড়া সাইক্লোন শেল্টার কাম প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন খুব ক্ষতিগ্রস্ত। যেকোন যানবাহনের জন্য মারত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া পশ্চিম খাজরা বা গোয়ালডাঙ্গা পর্যন্ত আরও কয়েক জায়গায় রাস্তা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। রবিবার ও বৃহস্পতিবার আমাদের খাজরা বাজারে সাপ্তাহিক হাট বসে। কপিলমুনি থেকে বিভিন্ন কাঁচামাল এ রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে। তাছাড়া আমাদের এলাকার চিংড়ি মাছও এ রাস্তা দিয়ে খুলনা, চট্টগ্রামের যায় তাই রাস্তাটি মেরামত করে আরও প্রসস্থ করার দাবী জানাচ্ছি। আমাদের বড়দল প্রতিনিধি মেম্বর পদপ্রার্থী এসএম শরীফ জানান- পার্শ্ববর্তী রাউতাড়া, খাজরা বাজার, পিরোজপুর এবং কয়রা থানার আমাদী বাজারের মালামাল ছোট ছোট যানবাহনে আমাদের বড়দল বাজারে আসে। আবার আমাদের ইউনিয়নের প্রায় সব কয়টি ভাটার ইটের ট্রলি এ রাস্তা দিয়ে দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেয়ে থাকে। কিন্তু রাস্তাটি এতই সংকীর্ণ যে পর পর দুটি ভ্যান একসাথে চলাচল করতে পারে না। আবার বড়দল বাজারের মিশন সংলগ্ন, দক্ষিন বড়দল সরদার বাড়ী থেকে কালকি গেট পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি. রাস্তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ধান তোলার মৌসুমে জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি মেরামত ও প্রসস্থ করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 8,641,528 total views, 6,527 views today |
|
|
|