Site icon suprovatsatkhira.com

ঝাপালি খেয়াঘাটে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া ও শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের ঝাপালি গ্রামের দুই পারের যাত্রীদের পারাপারের খেয়াঘাট “ঝাপালি ঘাট” এ যাত্রী পারাপারে দীর্ঘদিন যাবৎ অতিরিক্ত টাকা আদায় করলেও দেখার যেন কেউ নেই। গত ১০ নভেম্বর স্থানীয় একটি পত্রিকায় এই ঘাটটিতে অতিরিক্ত টাকা আদায় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও অধ্যবধি পর্যন্ত বহাল তবিয়তেই যাত্রী পারাপারে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে আরও জোরালো হয়েছে অতিরিক্ত অর্থ আদায়। এছাড়াও যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ তো আছেই। প্রতিদিন পার হওয়া যাত্রীরা যেন অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে।

কোন অবস্থাতেই যেন বন্ধ হচ্ছে না খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত টাকা আদায়। এতে করে বিপাকে পড়েছে প্রতিদিন খেয়া পার হওয়া অসহায় যাত্রী সাধারণ। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এই ঘাট মালিক (ইজিদ্দার) শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের শহিদুল তরফদারের ছেলে মামুন হোসেন এর খুটির জোর কোথায়? জানাগেছে, অর্ধশতাধিক বছরের পুরনো এই খেয়াঘাটটি আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন ও শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি এবং আটুলিয়া ইউনিয়নসহ আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। এই ঘাটটি ব্যবহার করে খোলপেটুয়া নদীর এপার-ওপার মানুষের আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে দীর্ঘকাল থেকে। অন্যদিকে, ব্যবসায়িক কাজে এই খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন অনেক যাত্রী পারাপার হয়। প্রতাপনগর ইউনিয়নের বেশ কিছু ভাংড়ী ক্রেতা ফেরিওয়ালাও এই ঘাট দিয়ে পার হয়। এছাড়াও সাধারণ যাত্রীতো আছেই।

সবদিক মিলিয়ে এই খেয়াঘাটটির গুরুত্ব অনেক বেশি। ঘাটের দুইপাশে বা একপাশে সরকারি নিতিমালা অনুযায়ী যাত্রী ও মালামাল উঠানামা সংক্রান্ত সিটিজেন চার্টার থাকার কথা থাকলেও খেয়াঘাটের কোন পারেই যাত্রী সেবার সিটিজেন চার্টার সরোজমিনে গিয়ে দেখা মেলেনি। প্রতিদিন পর হতে হয় এমন ভূক্তভোগী যাত্রীরা জানান, কয়েক বছর ধরে এই খেয়াঘাট দিয়ে নদী পারাপারে আমাদের থেকে জনপ্রতি ৫ টাকা নেওয়া হতো। তারপর বেশ কিছুদিন পূর্বে জনপ্রতি ৬ টাকা নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ঘাট মালিক (ইজিদ্দার) মামুন আমাদের থেকে একবার পার হওয়ার জন্য জনপ্রতি ১০ টাকা আদায় করছেন। প্রতিদিন পারাপরে যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০টাকা আদায় করা হচ্ছে।

যা যাত্রীদের পক্ষে দেওয়া অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও যাত্রী প্রতি ১০ টাকার পাশাপাশি মালামাল নেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগও করেন যাত্রীরা। এব্যাপরে খেয়াঘাট মালিক (ইজিদ্দার) মামুন জনপ্রতি ১০ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তার বাবা তাকে জনপ্রতি ১০ টাকা নিতে বলেছেন। এ বিষয়টি গত ১০ নভেম্বর পত্রিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রকাশের আগে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবিরকে জানালে তিনি খোঁজখবর নিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘব করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস্ত করেছিলেন। কিন্তু ১২দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও খেয়াঘাট মালিক (ইজিদ্দার) আগের মত ১০টাকা করে নেওয়ায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এই ঘাট মালিক (ইজিদ্দার) এর খুটির জোর কোথায়? এহেনো পরিস্থিতিতে যাত্রীদের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী অসহায় যাত্রীবৃন্দ, সচেতন মহল ও এলাকাবাসী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version