সুন্দরবন অঞ্চল প্রতিনিধি: বনবিভাগের আটককৃত হরিণের মাংস নিয়ে শুরু হয়েছে নানান গুনজন।আটককৃত মাংসের দুই ভাগ উধাও বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। অভিযানের সময় দায়িত্বে থাকা সুলতান আহম্মেদ বলেন,আটককৃত মাংস আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ কেজি হবে।অপর দিকে ১৩ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার হয়েছে বলে জানান সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান।হরিণের মাংস উদ্ধার হওয়া নিয়ে দুই বন কর্মকর্তার বক্তব্যে মিল না থাকায় সমালোচনা শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রসঙ্গত গাবুরার চৌদ্দরশি ব্রিজ সংলগ্ন বায়োজিদের মৎস্য আড়ৎতের সামনে থেকে গতকাল শনিবার দুপুর বারোটার সময় বনবিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বড় দুই ককশিটের মধ্যে থাকা হরিণের মাংস উদ্ধার করে। উদ্ধার করা ২ ককসিটের মধ্যে একটির গায়ে মোবাইল নং সহ আবু হাসান মিল বাজার সাতক্ষীরা নামের ঠিকানা লেখা ছিল বলে জানান বনবিভাগের এক কর্মকর্তা। প্রত্যক্ষদর্শী ও বন বিভাগের দেওয়া বিবৃতির মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকায় গনমাধ্যমকর্মীরা রবিবার ঘটনাস্থলে যেয়ে স্থানীয়দের মতামত জানার চেষ্টা করেন। স্থানীয় কয়েকজন জানান দুইটা বড় ককসিটে ভরা ছিল হরিণের মাংস যার আনুমানিক ওজন ৪০ থেকে ৪৫ কেজি হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী বন বিভাগের সহযোগী বোর্ড মাঝি সবুজ জানান, দুইটা বড় ককশীটে অনুমানিক ৪০ কেজির মতো হরিণের মাংস ছিল। ককসিটের উপরে ২ইঞ্চি পরিমাণ বরফ ছিলো বাকিটা হরিণের মাংস ছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মীর জানান, বনবিভাগের অভিযানে ২টি ককসিটে আনুমানিক ৪০ থেকে ৪৫ কেজি মাংস উদ্ধার হয়েছে। অপর একজন ইউপি সদস্য মোস্তফা জানান, আমি ঘটনা স্থলে ছিলাম না, তবে স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছি বনবিভাগ হরিণের মাংসসহ দুটি ককশিট জব্দ করে। জব্দকৃত হরিণের মাংস ৪০ থেকে ৪৫ কেজি হবে বলে আমাকে জানায়। স্থানীয় সোলায়মান জানান, উদ্ধার অভিযানের সময় আমরা বেশ কয়েকজন ঘটনাস্থলে ছিলাম সেখান থেকে আনুমানিক ৪০ থেকে ৪৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে। সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম এ হাসান বলেন, ১৩ কেজির মত হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। ১৩কেজির কথা পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,১৫ কেজি হলে বেশি হয় আর ১২ কেজি হলে কম হয় এজন্য ১৩ কেজি বলা হয়েছে। ২টা ককসিটের কথা জানতে চাইলে বলেন, আমি ওগুলো দেখিনি সুলতান সাহেবের সাথে যোগাযোগ করেন উনি সব জানে। স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বলেন, স্থানীয় ইমাম, প্রধান শিক্ষক ও মেম্বারের সামনে হরিণের মাংস গুলো মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে। বনবিভাগ, জনপ্রতিনিধি ও প্রত্যক্ষদশীদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে সম্পন্ন বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহলের দাবি ধোঁয়াশা কাটিয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি আলোর মুখ দেখুক।