নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার কুল্যা টু দরগাহপুর (বাঁকা) সড়কের কয়েকটি স্থানের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচলের সময় প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। অনতিবিলম্বে সড়কটি সংস্কার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন সাধারণ পথচারীরা।
কুল্যা টু দরগাহপুর (বাঁকা) সড়কটি উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে একটি। উপজেলার কুল্যা, কাদাকাটি, দরগাহপুর, বড়দল, আনুলিয়া, খাজরা ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের মানুষের জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের রাস্তা এটি। এছাড়া খুলনার পাইকগাছা, কয়রা ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মানুষও চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। ফলে সড়কটি বর্তমানে খুবই ব্যস্ত ও প্রয়োজনীয় সড়কে রূপ নিয়েছে।
সড়কটি প্রয়োজনীয় প্রস্থ না। ফলে যানবাহন ওভার টেকিং এর সময় সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। একটি বাস, ট্রাক বা মাইক্রো সড়কে ঢুকলে অন্য যানবাহন ওভার টেকিং খুবই সময় সাপেক্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে। অপ্রসস্থতার কারণে দু’টি যানবাহনের ক্রসিং ও ওভার টেকিং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে।
কুল্যা থেকে দরগাহপুর পর্যন্ত সড়কটির কুল্যা রাইচ মিল সংলগ্ন এলাকায়, বাহাদুরপুর ‘স’ মিল ও পরিষদ সংলগ্ন এলাকায়, কচুয়া শিশুতলা এলাকায়, কাদাকাটি বাজারের শেষ অংশ হতে কাদাকাটি ফুটবল মাঠ সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত, হলদেপোতা থেকে শ্রীধরপুর মোড়ের কিছু অংশ এবং দরগাহপুর এলাকাসহ কাদাকাটি বাজারের শেষ অংশ হতে কাদাকাটি ফুটবল মাঠ সংলগ্ন এলাকায় সড়কের বিভিন্ন অংশে পিচ ও পাথর উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত যানবাহন আটক যাচ্ছে, বা দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছে।
জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা দিয়ে বাস, ট্রাক, মাইক্রো, মাহিন্দা, ইজিবাইক, নসিমন, মটরসাইকেল, মটরভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে থাকে। এ রাস্তাটির সাথে এলাকার মানুষের জীবন জীবিকা ও উন্নয়ন যেমন জড়িত, তেমনি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিও জড়িত।
এসব ইউনিয়নের একটি বৃহৎ এলাকা জুড়ে রপ্তানি যোগ্য বাগদা, গলদা চিংড়ী সহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ রুই, কাতলা, পারশে, ভেটকী ইত্যাদি) উৎপাদিত হয়ে থাকে। প্রতিদিন কুল্যা-দরগাহপুর সড়ক দিয়ে পরিবহন যোগে উৎপাদিত এ মাছ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পরিবহন ও বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। এ রাস্তাটি ব্যবহার করে প্রতি বছর মোটা অংকের রাজস্ব আয় সহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়ে থাকে।
মহেন্দ্রচালক শরিফুল ইসলাম জানান- এ সড়কটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ। অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাটি দ্রæত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বাস-ট্রাকের পাশাপাশি আমাদের তিন চাকার গাড়িও চলে শতশত। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমাদের পথ চলতে হয়।
মৎস্য ব্যবসায়ী আশুতোষ মÐল জানান- প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ কিনে আমরা ট্রাকে লোড করে এ রাস্তা দিয়েই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয়। তাই রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
অনতিবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল ও সাধারণ পথচারী।