আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা রবিউল ইসলামকে ইউপি চেয়ারম্যানের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় মারপিট ও তার ব্যবহৃত ল্যাপটপসহ অন্য সরঞ্জামান ভাঙচুর ও মালামাল তছনছ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, রবিউল দীর্ঘ ১০/১২ বছর ইউনিয়ন পরিষদে তথ্য সেবা কেন্দ্রে কাজ করে আসছেন। ইউনিয়ন পরিষদের কাজকাম ও সরকারি কাজের পাশাপাশি জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ফরম পূরণের কাজ তাকে করতে হয়। জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ফরম পূরণ কাজে তার কিছু টাকা আয় হয়ে থাকে। সরকারি ভাবে তাদেরকে নির্দিষ্ট অর্থ গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী বিভিন্ন সময় তার কাছে টাকা দাবী করে আসছিলেন। ১৫ দিন পূর্বে উদ্যোক্তা চেয়ারম্যানকে ৫০০০ টাকা দেন। ৩০ অক্টোবর চেয়ারম্যান তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আবারও টাকা দাবী করেন। উদ্যোক্তা চেয়ারম্যানের ভয়ে কোন প্রতিবাদ না করে ১ অক্টোবর টাকা দিতে রাজি হন।
চেয়ারম্যান তাতে সম্মত হলেও পরবর্তীতে দুপুর ১২ টার দিকে পরিষদে গিয়ে তথ্য সেবা কেন্দ্রে ঢুকে অতর্কিতে রবিউলকে এলোপাতাড়ী মারপিট, কিলঘুষি দিতে থাকেন এবং ল্যাবটব, প্রিন্টার, কিবোর্ডসহ কম্পিউটারের বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে ৮০ হাজার টাকার মত ক্ষতি সাধন করেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তছনছ ও ছুড়ে ফেলে দেন। এখানে কাজ করতে হলে প্রতি মাসে টাকা দিতে হবে বলে হুশিয়ারি করেন। এসময় মহিলা মেম্বার শামিমা সুলতানা কুইনসহ অনেক ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এব্যাপারে উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান হারুন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সময় একজন মহিলা মেম্বার উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মারপিট ও ভাংচুরের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমি তাকে বকাবকি করি মাত্র। ইতিপূর্বে সে জন্ম নিবন্ধনে ইচ্ছাকৃত ভুল করায় অনেককে ইউএনও অফিসে হাটতে হচ্ছে। বিষয়টি আমি ইউএনও মহোদয়কে বলেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খান সাংবাদিকদের জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত তথ্য সেবা কেন্দ্রের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম বলেন, বিষয়টি দুঃখ জনক। ইউএনও নাজমুল হুসেইন খানের সাথে কথা বলেছি। তিনি প্রাথমিক ভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে জানিয়েছেন।