Site icon suprovatsatkhira.com

কলারোয়ায় মামলা করায় প্রবাসীর স্ত্রী সন্তানকে খুনের হুমকি

নিজস্ব প্রতিনিধি: যৌন নিপীড়নের মামলা করায় আসামিরা খুন করে লাশ গুম করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে। দু’টি শিশু সন্তান নিয়ে এখন চরম নিরপত্তাহীনতায় দিন পার করছেন ওই নারী। ঘটনাটি কলারোয়া উপজেলার কৃপারামপুর গ্রামে। ভুক্ত ভোগী পরিবারটি জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে আটক রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। গ্রাম বাসি ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কৃপারামপুর গ্রামের মালায়েশিয়া প্রবাসি আনারুল ইসলাম খাঁর স্ত্রী মোছা: রুপালী খাতুনকে দীর্ঘ দিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল একই গ্রামের কৃপারামপুর গ্রামের আলীম খাঁর ছেলে মো: রনি খাঁসহ তার বন্ধুরা। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় সুযোগ পেলে রুপালী খাতুনকে ধর্ষণ করা হবে বলে হুমকি দেয়।

এরই জের ধরে উক্ত রনি খাঁ কৌশলে গত ২০ নভেম্বর রাত ৮ টার দিকে রুপালী খাতুনের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় রুপালীর শোয়ার ঘরে প্রবেশ করে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকলে রুপালী ভয়ে ডাক চিৎকার করলে তার রুপালী দেবর নাজমুল ভাসুর কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম এসে বখাটে রনি খাঁকে আটক করে। এসময় সুচতুর রনি খাঁ নিজের কাছে থাকা মোবাইল ফোনে তার বাড়ির লোকজনদের নিকট ফোন করে ঘটনাস্থলে ডেকে আনে। এসময় কৃপারামপুর গ্রামের আলীম খাঁর ছেলে মো: রনি খাঁ (২১)সহ তার পক্ষের লোক সোলাইমান খাঁর ছেলে আহসান উল্লাহ (২৪) হান্নান খাঁর ছেলে হোসেন আলী খাঁ (২১) মান্নান খাঁর ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩২) সোহরাব খাঁর ছেলে আলীম খাঁ (৪০) ময়জুদ্দিন খাঁর ছেলে মো: হান্নান খাঁ (৫০) আজগর আলী খাঁর ছেলে আকাশ (১৯)সহ ৭/৮ জন ভিকটিম রুপালীর উপর সংঘবদ্ধ হামলা চালায়। হামলায় ১০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।

হামলা চলাকালে উল্লেখিত ব্যক্তিরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ আড়াই লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে বীর দর্পে চলে যায়। পরে প্রতিবেশীরা রুপালীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তিনি বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি মামলা (নং-৩৫) দায়ের করেন। আসামিরা এলাকায় প্রভাবশালী ও গুন্ডা প্রকৃতির হওয়ায় মামলার পর থেকে বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে আসছে। আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ভিকটিম জীবনের ভয়ে আতংকে দিন যাপন করছেন। গ্রাম বাসি আসামিদের দ্রæত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version