Site icon suprovatsatkhira.com

কলারোয়ায় পাওনা টাকা দাবি করায় ইউপি সদস্যসহ চার যুবকের নামে মিথ্যা মামলা

কলারোয়া ব্যুরো: পাওনা টাকা দাবি করায় এক ইউপি সদস্যসহ চার যুবকের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।গত ৫ নভেম্বর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ক্ষেত্রপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দক্ষিন ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের আকছেদ আলী ঢালীর ছেলে মো: মোখলেছুর রহমান জানান, গত দুই মাস পূর্বে অত্র ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে তিনি ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে উত্তর ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের শিবপদ সাহার ছেলে ধান পাট ব্যবসায়ী প্রদীপ কুমার সাহা আ.লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বিশাখা রাণী সাহার শক্তিশালী কর্মী হিসাবে নির্বাচনি কাজ করে।

নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা চলাকালীন প্রদীপ সাহা মোখলেছুর রহমানের নিকট থেকে জাহিদ সানা, ছিদ্দিক মোড়ল ও কামরুলকে স্বাক্ষী রেখে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ধার কর্জ গ্রহণ করে। ভোটে তিনি ইউপি সদস্য হিসাবে জয় লাভ করে। অন্যদিকে চেয়ারম্যান হিসাবে বিশাখা রাণী সাহাও জয়ী হয়। ভোটের পর পাওনাদার মোখলেছুর রহমান দেনাদার প্রদীপ সাহার নিকট তার ধার কর্জ দেয়া ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করে। এসময় প্রদীপ সাহা তার আড়তের ধান ও পাট বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করবে বলে টালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ৫ নভেম্বর মো: মোখলেছুর রহমান টাকা প্রদানের সময় যেসব স্বাক্ষী ছিলো তাদের সাথে নিয়ে প্রদীপ সাহার দোকানে যায়। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রদীপ সাহা মোখলেছুর রহমানের টাকা দেয়া হবে না বলে হাটিয়ে দেয়। পরে মোখলেছুরের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাত করার জন্য মনগড়া নাটক সাজিয়ে চেয়ারম্যান ও তার পক্ষের লোকজন প্রভাব বিস্তার করে কলারোয়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা (নং-০৯) দায়ের করে। মামলায় মোখলেছুরসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়।

এবিষয়ে মামলার বাদী প্রদীপ সাহা জানান, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উক্ত আসামিদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়েছিল বিষয়টি সঠিক। তবে মোখলেছুর তার নিকট টাকা পাবে না। আসামিরা তার দোকান থেকে টাকা চুরি করেছে। মোখলেছুর, জাহিদ, ছিদ্দিক, কামরুল, হাবিবুল্যাসহ গাজীপাড়ার ২ জন এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। তারা দাঙ্গাবাজ টাইপের। এরা এলাকার এক গড ফাদারের নির্দেশে আইন অমান্য করে চলে।
অন্যদিকে ইউনিয়নের সচেতন নাগরিকরা জানান, বিশাখা রাণী সাহা ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে তার পক্ষের লোকজন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পক্ষ প্রতিপক্ষ নিয়ে কখনো নির্বাচনি প্রদিদ্বন্দী জয়দেব সহা আবার কখনো সাবেক চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন আল মাসুদ বাবুর পক্ষের লোকজনদের টার্গেট করে একের পর এক হামলা হুমকি ও একাধিক মিথ্যা মামলার ঘটনাও ঘটছে ওই ইউপিতে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version